একজন নেটিজেন ঠাট্টার ভঙ্গিতে প্রশ্ন করেন, “ম্যাম আপনার অ্যাকাউন্টে ৪.৭৫ কোটি টাকা ক্রেডিট হয়ে গিয়েছে?” দ্বিতীয় নেটাগরিক আবার লিখেছেন, “অন্যদের পয়সায় ভিডিও শ্যুট করাতে দেখলাম।” তৃতীয় নেট-ব্যবহারকারী আবার লিখেছেন, “বিপদকে সুযোগে বদলে নিয়েছেন।” অন্য একজনের মন্তব্য, “পণ চাওয়া যেমন অপরাধ, তেমন খোরপোষ চাওয়াটাও একই অপরাধ।”
আবার এক নেটব্যবহারকারী ধনশ্রীর উদ্দেশ্যে তাঁর আত্মসম্মানবোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, “আমি জানি না, চাহাল আদৌ ওঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন কি না! কিন্তু যদি প্রতারিত হয়েও থাকেন, তাহলে তার পর কী করে ওই ব্যক্তির থেকে এত পরিমাণ টাকা খোরপোষ হিসেবে গ্রহণ করলেন? ওই টাকায় উনি কীভাবে জীবন কাটাবেন? ওঁর মধ্যে কি কোনও আত্মসম্মান বোধ বেঁচে নেই?” এখানেই শেষ নয়, বহু নেটিজেন আবার ধনশ্রীকে ‘চোরনি’ বলেও সম্বোধন করেছেন। যার অর্থ হল চোর।
advertisement
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে ধনশ্রীকে খোরপোষ বাবদ ৪.৭৫ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়েছেন চাহাল। আসলে সম্মতিক্রমেই তিনি এই পরিমাণ অর্থ নিজের প্রাক্তন স্ত্রীকে খোরপোষ হিসেবে দিতে রাজি হয়েছিলেন। এর মধ্যে ২.৩৭ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই ধনশ্রীকে দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তবে বাকি অর্থ পরিশোধ না করা হলে সেটিকে পারিবারিক আদালত অমান্য হিসেবে বিবেচনা করবে।
এদিকে ২০২০ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন যুজবেন্দ্র চাহাল এবং ধনশ্রী। বর্তমানে তাঁদের পাকাপাকি ভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। গত ২০ মার্চ তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। প্রায় ১৮ মাস ধরে আলাদা থাকছিলেন তাঁরা। বিবাহবিচ্ছেদের দিন চাহালের আইনজীবী নিতিন কুমার গুপ্তা সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে বলেন যে, “বিবাহবিচ্ছেদের ফরমান মঞ্জুর করেছে আদালত। এখন থেকে আর ওঁরা স্বামী-স্ত্রী থাকবেন না।”