শর্ট ফিল্মের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে, লকডাউনে বারবার বাড়ির বাইরে না যাওয়ার জন্য। পোলাও, মাছ, মাংসের মতো এলাহি খাবারের বদলে করোনা যুদ্ধের আবহে ডাল, ভাত, আলু চোখা খেয়েই কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করার। লক্ষ্মী ছাড়াও একঝাঁক ক্রিকেটারএই শর্ট ফিল্মে বাড়ি থেকেই অভিনয় করেছেন। রয়েছেন বাংলা রঞ্জি অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি, অনূর্ধ্ব ২৩ দলের কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী, অনুষ্টুপ মজুমদাররা। শর্ট ফিল্মে রয়েছেন ভূমি ব্যান্ডের প্রাক্তন গায়ক সুরজিৎ। রয়েছেন চিকিৎসক অজয় দে।
advertisement
শর্ট ফিল্মের মূল গল্প কয়েক বন্ধুর লকডাউনের মধ্যে বাজার করা নিয়ে। সেখান থেকেই একজনের করোনা সংক্রমনের জল্পনা। করো না পরীক্ষা তারপর আতঙ্ক, হতাশা। শেষমেষ ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বাজারে না গিয়ে বাড়িতে থেকেই ডাল, ভাত খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রত্যেকে। সাধারণ মানুষকেও বাড়িতে থাকার বার্তা দিয়েছেন। ছবিতে সিনিয়র দাদার ভূমিকা রয়েছেন সম্বরণ। ডাক্তারের ভূমিকাতে অভিনয় করেছেন চিকিৎসক অজয় দে। শর্ট ফিল্ম তৈরি করতে লক্ষ্মীকে সাহায্য করেছেন সুজয় গোস্বামী ও সুব্রত ঘোষ।
শর্ট ফিল্ম নিয়ে লক্ষ্মী জানান, বারবার রাজ্য সরকারের তরফে লকডাউন না ভাঙার জন্য আবেদন করা হচ্ছে। তা সত্য দেখা যাচ্ছে অনেক মানুষ বাজারে ভিড় করছেন। মাছ, মাংস কিনতে হিড়িক পড়েছে। প্রশাসনের তরফে বারবার প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু সবাই শুনছেন না। তাই মানুষকে আরও সচেতন করতে শর্ট ফিল্ম তৈরীর ভাবনা। সুরজিৎ থেকে সম্বরণদা প্রত্যেককে ধন্যবাদ এই উদ্যোগে পাশে থাকার জন্য। মনোজ, অনুষ্টুপরা এক কথায় রাজি হয়ে শর্ট ফিল্ম তৈরিতে আমায় সাহায্য করেছে। আশা করি এই শর্ট ফিল্ম মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে।" যে যার বাড়িতে বসেই পুরো শুটিং করা হয়েছে মোবাইলে। পুরো ছবিটাই সাদাকালো মোড়কে। এখন দেখার লক্ষ্মীর এই উদ্যোগ মানুষের মধ্যে কতটা সচেতনতা বাড়াতে পারে।
ERON ROY BURMAN