#দুবাই: শুক্রবার আইপিএলের মেগা ফাইনালে টস জিতে যখন বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইয়ন মর্গ্যান, তখন মনে হয়েছিল আজ কোথায় ভাগ্য সহায় আছে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের। কিন্তু ওপেন করতে নেমে সিএসকে - র দুই ওপেনার ঋতুরাজ এবং দু প্লেসি দুরন্ত শুরু করলেন। পাওয়ার প্লে পর্যন্ত ৫০ রানে কোনও উইকেট না হারিয়ে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল হলুদ জার্সিধারী দল। দু প্লেসিকে সাকিবের বলে স্টাম্প আউট করার সুযোগ হারালেন দীনেশ কার্তিক।
advertisement
নয় ওভারের মাথায় প্রথম উইকেট পেল কেকেআর। সুনীল নারিন আউট করলেন ঋতুরাজকে। ৩২ রানে তুলে মারতে গিয়ে লং অফ অঞ্চলে মাভির হাতে ক্যাচ দিলেন টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। এলেন রবিন উথাপ্পা। দুরন্ত ব্যাট করছিলেন দু প্লেসি। সাকিবের একটি ওভারে পরপর দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি এবং রবিন। তারপর ফার্গুসনের বলে আবার দুরন্ত বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মারলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান। নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন।
ক্রমশ রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছিল কেকেআর অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানের। ক্রমশই যেন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল ম্যাচ। একমাত্র সুনীল নারিন ছাড়া কেকেআরের কোনও বোলার যেন আটকাতে পারছিলেন না দু প্লেসিকে। রবিন উথাপ্পার সঙ্গে তার অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত রবিন উথাপ্পা আউট হলেন সেই সুনীল নারিন এর বলে।
এরপর এলেন মইন আলি। ১৫ ওভারের মাথায় বল করতে এলেন ভেঙ্কটেশ আইআর। বলের গতি বদলে চেষ্টা করলেন। তবে ১৬ নম্বর ওভার বুদ্ধি করে বল করলেন লকি
ফার্গুসন। পরের ওভারেই আবার মাভির প্রথম বলে ছক্কা মারলেন মইন। ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। অন্যদিকে দু প্লেসি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মারছিলেন কেকেআর বোলারদের। ফাইনালে চেন্নাইর ব্যাটিংকে একাই টেনে নিয়ে গেলেন।
মইন আলি যেভাবে দুরন্ত গতিতে রান তুললেন তাতে ধোনির দলের কাজটা সহজ হয়ে গেল। দুবাইয়ের উইকেটে ১৬০ এর ওপর রান তাড়া করা প্রচন্ড কঠিন। সেখানে এই রান তোলা কেকেআরের কাছে বিশাল চ্যালেঞ্জ। একে ফাইনাল, তার ওপর চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন রাহুল ত্রিপাঠী। তাই নাইটদের কাজটা আরো বেশি কঠিন হয়ে গেল। ইয়ন মর্গ্যান চাপে পড়ে নিজে কয়েকবার ফিল্ডিং মিস করলেন।তবে প্রথম ইনিংসের শেষে দু প্লেসির ৫৯ বলে ৮৬ রানের ইনিংস পার্থক্য করে দিল।