২০০৬ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলেছিল পর্তুগাল। বিশ্বকাপে সেটিই ছিল রোনালদোর দেশের হয়ে সেরা সাফল্য। পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোসও নিশ্চয়ই এবার বড় কিছু করাতে চাইবেন দলকে দিয়ে। এ কোচের অধীনই ২০১৬ সালে ইউরো জিতেছিল পর্তুগাল। ২০১৯ সালে জিতেছিল ইউরোপীয় নেশনস লিগ। তিনি অবশ্য কাতারে সোনার ট্রফিটাকেই পাখির চোখ করেছেন, আমি এর আগে দুটি শিরোপা জিতেছি দেশের হয়ে। কাতারে তৃতীয়টি জিততে চাই।
advertisement
কালকের জয়ে রোনালদোর পঞ্চম বিশ্বকাপ তো বটেই, পর্তুগালও টানা ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ নিজেদের জায়গা করে নিল। আগামী নভেম্বরে ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো যখন নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপে খেলতে নামবেন, তখন তাঁর লক্ষ্য নিশ্চিত করেই থাকবে বাকি বিশ্বকাপগুলোকে ছাপিয়ে যাওয়া।উত্তর মেসিডোনিয়াকে হারিয়েই ইনস্টাগ্রামে ঢুকেছিলেন রোনালদো।
নিজেদের অর্জনের বার্তাটা দিয়েছেন তিনি, লক্ষ্য পূরণ! আমরা কাতার বিশ্বকাপে। আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে নিয়েছি। আমাদের নিরন্তর সমর্থন দিয়ে যাওয়ার জন্য সব পর্তুগিজকে ধন্যবাদ। রোনালদো খেলবেন তাঁর পঞ্চম বিশ্বকাপ। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপ যে রোনাল্ডোর শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে তাতে অনেকটাই নিশ্চিত তার ভক্তরা।
নিজেকে ফিটনেসের শীর্ষে রেখে দিলেও এরপর রোনাল্ডোর পক্ষে বিশ্বকাপ খেলা সম্ভব নয় সেটা নিশ্চিত ফুটবল বিজ্ঞানীরা। পর্তুগাল দলের অনেক ফুটবলাররাই বলছেন কাতার বিশ্বকাপ তারা রোনাল্ডোর জন্য খেলতে চান। শুধু খেলতে নয়, নকআউট পর্যায় পৌঁছানো লক্ষ্য পর্তুগালের। রোনাল্ডো নিজেও চাইবেন সেলেকাও জার্সিতে কাতার বিশ্বকাপ রাঙিয়ে যেতে।
আক্রমণ পর্তুগালের শক্তি হলেও, ডিফেন্স নিয়ে সমস্যা বরাবরের। এই জায়গাটা উন্নতি করতে চান কোচ ফার্নান্দো স্যানটোস। তবে পর্তুগালের জার্সিতে শেষ বিশ্বকাপ হলেও রোনাল্ডোর এজেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্লাব ফুটবল আরো দুটো বছর খেলবেন ক্রিশ্চিয়ানো।
ইউসবিও এবং লুইস ফিগোর পর পর্তুগালের সেরা ফুটবলার রোনাল্ডো। রেকর্ডের বিচারে পর্তুগালের সেরা। তাই তার বিদায় স্মরণীয় করে রাখতে কাতার বিশ্বকাপ জয় মরিয়া হবে পর্তুগাল।