লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’— এই দর্শন সবসময় মেনে চলেছেন সিআরসেভেন। পর্তুগালের ওসামা বিন লাদেন বলুন কিংবা মাদার টেরিজা, তিনিই সব। প্রথম ম্যাচে ঘানার চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার পর প্রতিদিনের অনুশীলনে তাঁর পরামর্শে সমৃদ্ধ এবং সম্পৃক্ত হচ্ছেন ডানিলো, হোয়াও ফেলিক্সরা। শনিবার রাতে সহ-ফুটবলারদের নিয়ে দোহার একটি রেস্তরাঁয় নৈশভোজ সেরেছেন তিনি।
আরও পড়ুন - ১৫ মিনিটের লড়াকু ফুটবলে স্পেনের বিরুদ্ধে কামব্যাক জার্মানির, বিশ্বকাপে বেঁচে থাকল আশা
advertisement
সোমবার গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে উরুগুয়ের মুখোমুখি হওয়ার আগে বাকিদের উজ্জীবিত করার চেষ্টায় বিন্দুমাত্র খামতি রাখতে চাইছেন না ক্যাপ্টেন। তাঁর এই আন্তরিকতায় চনমনে পর্তুগাল শিবির। এদিনের অনুশীলনেও রোনাল্ডোর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে দেখা গেল কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসকে। সম্ভবত রক্ষণ সংগঠন সুদৃঢ় করা নিয়ে আলোচনা হল দু’জনের।
প্রথম ম্যাচে ঘানাকে হারালেও দু’গোল হজম করেছে পর্তুগাল। তাই সোমবার বিপক্ষের দুই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ ও এডিনসন কাভানিকে রোখার জন্য ডিফেন্ডারদের পাশাপাশি মিডফিল্ডারদেরও তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কোচ। তাছাড়া গতবার রাশিয়ার মাটিতে এই উরুগুয়ের কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল পর্তুগালকে। সেদিক থেকে দেখলে এটা প্রতিশোধ ম্যাচ।
advertisement
কিন্তু অযথা ফুটবলারদের চাপ বাড়াতে সেটা মনে করাতে চান না পর্তুগিজ ম্যানেজার। বয়স্ক ফার্নান্দো দীর্ঘ আট বছর হয়ে গেল পর্তুগালের দায়িত্বে। তার হাত ধরে দুটো আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছে পর্তুগিজরা। রোনাল্ডো একা নন, ব্রুনো ফার্নান্ডেজ, বার্নার্ড সিলভা, নেভেস, ফেলিক্স - পর্তুগাল দলে প্রচুর প্রতিভা।
কিন্তু নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ড্র করলেও উরুগুয়ের বড় ম্যাচে জ্বলে ওঠার প্রবণতা ফেলে দেওয়ার নয়। তাই সতর্ক পর্তুগাল শিবির। নুনিয়েজ এবং ভ্যালভার্দে উরুগুয়ের শক্তি। কিন্তু আজ জিতেই শেষ ১৬ নিশ্চিত করতে মরিয়া থাকবে পর্তুগিজরা। রোনাল্ডো বলছেন নো চিন্তা।