TRENDING:

২০০১-এর হার নয়, '৮৭-র বিশ্বকাপই জয়ই ইডেনের সেরা স্মৃতি: স্টিভ ওয়া

Last Updated:

ইডেন থেকে কলকাতা ময়দান। ক্যামেরা কাদে সোমবার সকালে ঘুরে বেড়ালেন স্টিভ ওয়া। লেন্স বন্দী করলেন বিশেষ মুহূর্ত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: ইডেনে স্টিভ ওয়া। ব্যাট হাতে নয়। ক্যামেরা নিয়ে। অগাস্টেই প্রকাশিত হচ্ছে, তাঁর লেখা স্পিরিট অফ ক্রিকেট। তার জন্য সৌরভের শহরে ঘুরে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক। অলি-গলি থেকে ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাস, হাকিকত। ক্রিকেট যেন ধর্ম ভারতবর্ষে। স্টিভের বইতে থাকছে এই সব তথ্য। বইয়ের পাশাপাশি একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ হবে। সেই কারণে ক্যামেরা নিয়ে ভারতের বিভিন্ন শহর ঘুরে গেলেন স্টিভ ওয়া। সাথে আরও ২ জন ফটোগ্রাফার।
advertisement

কলকাতা তাঁর কাছে কখনও সুখের। কখনও দুঃখের। এই ইডেনে তাঁর ঝুলিতে প্রথম বিশ্বকাপ। আবার এই ইডেনেই থেমেছিল তাঁর অস্ট্রেলিয়ার অশ্বমেধ। বলা ভাল থামিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে ২০০১ সালের হার নয়, ১৯৮৭ বিশ্বকাপ জয় তাঁর কাছে ইডেনের সেরা স্মৃতি। ক্রিকেটের নন্দনকাননে ছবি তুলতে তুলতে জানালেন স্টিভ। একবার থমকে দাঁড়ালেন ইডেনের বাইরের দেওয়ালে সামনে। ইডেনের স্মরণীয় মুহূর্ত গুলোর সঙ্গে ছবিতে জ্বলজ্বল করছে আইসিসির প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়া থেকে বিশ্বকাপ নিচ্ছেন স্টিভ। কিছুক্ষণের জন্য নস্টালজিক হয়ে পড়লেন প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। লেন্স বন্দি করলেন সেই ছবিও। মাঠে বাংলা বনাম দিল্লি রঞ্জি ম্যাচের ছবি, গ্যালারি,দর্শক,আধুনিক স্কোরবোর্ড, ক্লাব হাউস সব কিছু ক্যামেরার লেন্সে ধরা পরল স্টিভের।

advertisement

ইডেন থেকে বেরিয়েই রাস্তা টপকে চলে গেলেন কাস্টমস ও পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাঠে। নেট প্র্যাকটিস করতে থাকা ক্রিকেটারদের ছবি তুললেন। কখনও বসে, কখনও মাটিতে শুয়ে স্টিভকে ছবি তুলতে দেখা গেল। প্রতিটা মুহূর্তেই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক যেন মাটির মানুষ। অন্য ভূমিকায়ও সাবলীল স্টিভ ওয়া। আচমকা স্টিভকে কাছে পেয়ে খুদে ক্রিকেটার থেকে ময়দানের ক্যান্টিনের কর্মীরা ছুটলেন ছবি তুলতে। আবদার মেটালেন স্টিভ ওয়া। কয়েক ঘণ্টার জন্য সোমবারের সকালের ময়দান স্টিভময়।

advertisement

শনিবার রাতে শহরে এসেছেন। রবিবার নিজের উদয়নে সময় কাটিয়েছেন। সেখানেও কাজ করেছেন নিজের বইয়ের জন্য। সেখানে ব্যাট হাতে দেখা গিয়েছিল স্টিভকে। বয়স বাড়লেও নিজের সেই পুরনো মেজাজ বদলাননি প্রাক্তন অধিনায়ক। উদয়নের শিক্ষাকর্মী থেকে আবাসিকদের বল বলে বলে পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন মাঠের বাইরে। ২২ বছর আগে ১৯৯৮ সালে বারাকপুরের উদয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন স্টিভ। সময় পেলে এখনও উদয়নের বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে ছুটে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা তারকা।

advertisement

বিরাট না স্টিভ স্মিথ। কে সেরা? সোমবার স্টিভ ওয়কে প্রশ্ন করা হয়। প্রাক্তন অধিনায়ক জানান, "দুজনেই এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার। দুজনের মধ্যে তুলনা করতে চাই না। দুজনের ঘরানা আলাদা।" চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টিভের ফেভারিট কোন দল? এক মুহূর্ত না ভেবে স্টিভের উত্তর "অস্ট্রেলিয়া ও ভারত"। আইসিসি চারদিনের টেস্টের ভাবনাকে সমর্থন করেন? এই প্রশ্নেও অকপট স্টিভ। স্পষ্ট উত্তর, "চার দিনের নয় পাঁচ দিনের ই হওয়া উচিত টেস্ট। ক্রিকেটের গরিমা বজায় থাকে তাতে"। সৌরভের সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হল? সৌরভকে কাছের বন্ধু আখ্যা দিয়ে স্টিভের জবাব," কথা হয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ ক্রিকেটের উন্নতি করবেন সে বিশ্বাস রয়েছে"। চলতি বছর অগাস্ট মাসে মুক্তি পাওয়ার কথা স্টিভের লেখা বই। সেই সময় ভারতে আসতে পারেন তিনি। সোমবার রাতেই শহর ছেড়ে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দিলেন স্টিভ। দেশে ফিরে এবার মন দেবেন বইয়ের প্রোডাকশনের কাজে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

ইরন রায়বর্মন

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
২০০১-এর হার নয়, '৮৭-র বিশ্বকাপই জয়ই ইডেনের সেরা স্মৃতি: স্টিভ ওয়া
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল