অস্ট্রেলিয়া সিরিজে তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলবে ভারতীয় দল। এই দুই সিরিজ শেষ হওয়ার পর চারটি টেস্ট ম্যাচ রয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন বছরে প্রথম মাস গড়িয়ে যাবে সিরিজ শেষ হতে। কার্যত সেই দিকেই ইঙ্গিত করে আরসিবি অধিনায়ক তাদের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, "যদি একটা ভালো গ্রুপের সঙ্গে থাকা যায় তাহলে বায়ো-বাবল সমস্যা নয়। যেমন আরসিবি দলটা। প্রত্যেকেই দুর্দান্ত। যার ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে। একসঙ্গে খেলা, সময় কাটানো উপভোগ করেছি। কিন্তু এই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হলে তো সমস্যার।"
advertisement
বর্তমান পরিস্থিতি বায়ো-বাবল ছাড়া ক্রিকেট আয়োজন করা অসম্ভব। কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করে বেশিদিন ক্রিকেটারদের তার মধ্যে রাখলে একটা মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেক ক্রিকেটারই। বায়ো-বাবল এক কোথায় গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজের গণ্ডির মধ্যে থাকা। বিরাটের কথায়, "এই জিনিসটা দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে মানসিক ক্লান্তি আসতে বাধ্য ক্রিকেটারদের মধ্যে। তাই লম্বা সফর সূচি করার আগে বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। কোহলির আরও যুক্তি, "টুর্নামেন্ট বা সিরিজ কতটা দীর্ঘ হবে সেটা ভাবা দরকার। একটানা জৈব সুরক্ষার মধ্যে থাকলে ক্রিকেটারদের মনের ওপর কতটা প্রভাব পড়বে তা ভাবার বিষয়। সেক্ষেত্রে পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর মত ব্যবস্থা রাখা যায় কিনা তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত। দিনের শেষে একজন ক্রিকেটারের মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।"
বায়ো-বাবল ফ্যাক্টরের কারণে দেশে ফিরে ক্রিকেট থেকে কিছুদিন দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া দুই ক্রিকেটার স্মিথ এবং ওয়ার্নার। বিগ ব্যাশে খেলবেন না দুজনেই। একেবারে ভারতীয় সিরিজ খেলতে নামবেন।