সুযোগটা যখন পাওয়া গেছে, তখন চুটিয়ে উপভোগ করাই ভাল । সেই কাজই করছেন ভারতের চেতেশ্বর পূজারা ও পাকিস্তানের মহম্মদ রিজওয়ান।
ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে গিয়ে পূজারা যেন হয়ে গেছেন রিজওয়ানের ব্যাটিং কোচ। বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেনও ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বর্ষসেরা হওয়া পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। সাসেক্সের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলছেন পূজারা ও রিজওয়ান। পূজারা যেন হয়ে উঠেছেন রান মেশিন।
advertisement
অন্যদিকে রিজওয়ানের ব্যাটে রান যেন সোনার হরিণ। সাসেক্সের হয়ে চার দিনের ৪ ম্যাচে দুটি শতক ও দুটি দ্বিশতকে পূজারার মোট রান ৭১৪। সেখানে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে এসেছে ১০৫ রান। ৭৯ রানই এসেছে এক ইনিংস থেকে। বাকি তিন ইনিংসে ২২, ০ ও ৪। সর্বশেষ ম্যাচেই ৭৯ রানের ইনিংসটি রিজওয়ানের। এই ম্যাচে ১৫৪ রানের জুটি গড়েছিলেন পূজারা ও রিজওয়ান।
৭৯ রানে আউট হয়ে যাওয়ার পরই ছুটে যান পূজারার কাছে। কথা বলেন ব্যাটিংয়ে নিজের সমস্যা নিয়ে। সে ম্যাচ সম্পর্কে রিজওয়ান বলেছেন, আগে আউট হয়ে যাওয়ার পর পূজারার সঙ্গে আমার কথা হয়। আমাকে কিছু বিষয় বলেন, যার মধ্যে একটি ছিল শরীর বলের কাছে নিয়ে খেলা। সবাই জানেন, সাদা বলের ক্রিকেট আমরা ধারাবাহিকভাবে শরীর দূরে রেখে কয়েক বছর ধরে খেলে আসছি।
সাদা বলে, আপনি আপনার শরীরের খুব কাছাকাছি খেলবেন না। কারণ, বলটি ততটা সুইং বা সিম করে না। এশিয়া ও ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের পার্থক্যটাই ফুটে উঠেছে রিজওয়ানের কথায়, এখানে (ইংল্যান্ডে) খেলতে এসে শুরুতে শরীর দূরে রেখে খেলায় একইভাবে দুবার আউট হয়েছি।
আমি তাঁর সঙ্গে নেটে দেখা করি এবং মনে পড়ে তিনি বলেছিলেন, এশিয়াতে ড্রাইভ করার সময় আমরা বলের পেছনে তাড়া করি। কিন্তু এখানে সেটা করার প্রয়োজন নেই। এখানে শরীরের কাছে খেলতে হয়। আমি টানা সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছি ।
রিজওয়ান মনে করেন পূজারা মনোযোগ এর ব্যাপারে ইউনিস খানের ঠিক পেছনেই থাকবেন। কিভাবে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হয় সেটা পূজারার থেকে শিখছেন রিজওয়ান। বুঝতে পারছেন এশিয়া এবং ইংল্যান্ডে শট খেলার পার্থক্য।