কিন্তু এই ছেলে যে অন্য ধাতুতে গড়া। সেটা যত ম্যাচ এগোতে থাকল বোঝা গেল। দ্বিতীয় সেট টাইব্রেকারে জিতলেন। তিন নম্বর সেট পকেটে নিলেন ৬-১ ব্যবধানে। অসংখ্যবার জোকোভিচের সার্ভিস ভাঙলেন। তার ফোরহ্যান্ড, ক্রসকোট, ড্রপ শট কিছুর জবাব ছিল না জোকারের কাছে। ফরাসি ওপেনেই ছাপিয়ে গিয়েছিলেন রাফায়েল নাদালকে। পুরুষদের মধ্যে সর্বাধিক ২৩টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক হয়েও এতটুকু কমেনি সাফল্যের খিদে।
advertisement
রোলাঁ গারোয় যেখানে শেষ করেছিলেন, অল ইল্যান্ড ক্লাবের ঘাসের কোর্টে ঠিক সেখান থেকেই যেন শুরু করেছিলেন নোভাক জকোভিচ। দুর্ধর্ষ দাপটে উঠেছিলেন উইম্বলডনের ফাইনালে। কেরিয়ারের ২৪তম মেজর ট্রফির সামনে দাঁড়িয়ে সার্বিয়ান কিংবদন্তি। রবিবাসরীয় খেতাবি লড়াইয়ে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিল স্পেনের কার্লোস আলকারাজ। বয়সে জকোভিচের থেকে ১৬ বছরের ছোট হলেও র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে স্প্যানিশ তরুণ।
তাই শীর্ষ বাছাই আলকারাজের বিরুদ্ধে খুব সহজ হবে না জোকারের লড়াই সেটা জানা ছিল। তবে অভিজ্ঞতায় ভর করে সেই কঠিন চ্যালেঞ্জ টপকাতে পারলে টেনিসের ইতিহাসে এক মহাকীর্তির শরিক হবেন তিনি। ধরে ফেলবেন মার্গারেট কোর্টকে।পাশাপাশি উইম্বলডনে রজার ফেডেরারের আটবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্বেও ভাগ বসাতেন সার্বিয়ান তারকা।
তবে নোভাকের স্বপ্ন চুরমার করে দিতেই পারতেন কার্লোস আলকারাজ। তাঁর মধ্যে যে সেই বারুদ রয়েছে, ছোট্ট কেরিয়ারেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন ২০ বছর বয়সি। আদায় করে নিয়েছেন ‘বেবি নাদাল’-এর তকমা। রাফাকে আদর্শ করে এগিয়ে চলা আলকারাজ উইম্বলডনের ফাইনালে ওঠার পথে মাত্র দু’টি সেট হাতছাড়া করেছেন। প্রথম উইম্বলডনের ফাইনালে নেমেছিলেন আলকারাজ।
জোকারের বিরুদ্ধে অভিজ্ঞতায় বিস্তর পিছিয়ে ছিলেন। গ্র্যান্ড স্ল্যামের অঙ্কেও। সার্বিয়ান মহারথীর ২৩টি মেজরের বিপরীতে তরুণ তুর্কির প্রাপ্তি ছিল মাত্র এক। জোকোভিচকে টিকে থাকতে গেলে চার নম্বর সেট জিততেই হত। সেটাই করলেন জোকার। জিতলেন ৬-৩ ব্যবধানে। ম্যাচ গেল পঞ্চম সেটে।চূড়ান্ত লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত কে করবেন বোঝা যাচ্ছিল না।
জোকার এবং আলকারাজ প্রতিটা গেম পয়েন্ট এর জন্য লড়াই করছিলেন। রাগে নিজের রেকেট ভাঙলেন জোকার। আলকারাজ এগিয়ে গেলেন ৪-২ ব্যবধানে।