জনের একাধিক অধিনায়ক তত্ত্ব নিয়ে ঘরে-বাইরে সমালোচনা শুরু হয়। ক্রিকেটাররা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দলে চূড়ান্ত অস্থিরতা। মাঠের পারফরম্যান্সে ভাটা পড়ায় সমর্থকরাও সমালোচনায় মুখর হন। তখন শুধু একটাই আলোচনা—একাধিক অধিনায়ক তত্ত্ব কি কেকেআরকে আরও ডুবিয়ে দেবে? সেই সময় নিজের কলামে জন বুকাননের তীব্র সমালোচনা করেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর। সেই সমালোচনার ধার এতটাই ছিল, ক্ষেপে যান খোদ শাহরুখও।
advertisement
দ্য টেলিগ্রাফ-এ গাভাসকর লেখেন, কেকেআর মালিকরা ‘দুর্ভাগা’। অস্ট্রেলিয়ান কোচ যে তাঁদের বোকা বানিয়েছে, সেটা বুঝতেও পারছে না। ব্যস, আর যায় কোথায়। আগুনে যেন ঘি পড়ে। পাল্টা ফুঁসে ওঠেন শাহরুখ খানও। দু’কথা শুনিয়ে দেন গাভাসকরকে।
কিংবদন্তি ব্যাটার লিখেছিলেন, “একাধিক অধিনায়ক তত্ত্ব নিয়ে মন্তব্য করা মানে এটাকে গুরুত্ব দেওয়া, যা এ পাওয়ার যোগ্য নয়। তবে যেটা নিয়ে মন্তব্য করতে হবে, সেটা হল, কীভাবে তিনি কুইন্সল্যান্ডের বন্ধুদের কেকেআরে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। আর মালিকরা, হায় রে দুর্ভাগা, বুঝতেই পারছে না, তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা হচ্ছে।“
কয়েকদিন পরই গাভাসকরের মন্তব্যের জবাব দেন শাহরুখ। খানিকটা রসিকতার ছলেই বলেন, গাভাসকরের যদি আপত্তি থাকে, তাহলে নিজেই একটা দল কিনে চালান। তাঁর কথায়, ‘‘আরে, অনেক টাকা খরচ করেছি। এর সঙ্গে আমার আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। আপনার যদি সমস্যা থাকে, তাহলে নিজেই একটা দল কিনুন। সেই দলকে নিজের মতো চালাবেন।’’
কিংবদন্তির সঙ্গে এমন ব্যবহার? শাহরুখের এই মন্তব্যের নিন্দা করেন অনেকেই। পরে দুঃখপ্রকাশও করেন বলিউডের বাদশা। পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ওই মন্তব্যের পরই ক্ষমা চেয়ে গাভাসকরকে চিঠি লেখেন তিনি। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক তখন আমেরিকায় ছিলেন।
শাহরুখের কথায়, “গাভাসকর যদি আমাকে মাথায় ভর দিয়ে হাঁটতে বলেন, তাই করব। যেভাবে দল চালাতে বলবেন, সেভাবেই চালাব। ক্রিকেট নিয়ে গাভাসকরের মতো মানুষ কিছু বললে সেটা মানা উচিত। আমি তাঁর বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। শুধু নতুন কিছু করার স্বাধীনতা চেয়েছিলাম। আমার কথায় তিনি কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দুঃখপ্রকাশ করে তাঁকে চিঠি পাঠিয়েছি। তখন তিনি আমেরিকায় ছিলেন।’’