উরুগুয়ে -০
#দোহা: লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’— এই দর্শন সবসময় মেনে চলেছেন সিআরসেভেন। পর্তুগালের ওসামা বিন লাদেন বলুন কিংবা মাদার টেরিজা, তিনিই সব। দেশের সর্বকালের সেরা স্কোরার। অনেক আগেই পেছনে ফেলেছেন ইউসোবিও, লুইস ফিগোদের। এটা মেসির মতো তারও পঞ্চম এবং শেষ বিশ্বকাপ। রোনাল্ডো একা নন, ব্রুনো ফার্নান্ডেজ, বার্নার্ড সিলভা, নেভেস, ফেলিক্স - পর্তুগাল দলে প্রচুর প্রতিভা।
advertisement
দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ড্র করলেও উরুগুয়ের বড় ম্যাচে জ্বলে ওঠার প্রবণতা ফেলে দেওয়ার নয়। তাই সতর্ক পর্তুগাল শিবির। নুনিয়েজ এবং ভ্যালভার্দে উরুগুয়ের শক্তি। দুই বুড়ো স্ট্রাইকার সুয়ারেজ এবং কাভানির উপস্থিতি এখনও ডিফেন্ডারদের সুস্থ থাকতে দেওয়ার জায়গা দেয় না।
রাশিয়া বিশ্বকাপে উরুগুয়ের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। তাই আজ এই ম্যাচটা তাদের কাছে প্রতিশোধ ম্যাচ ছিল সেটা না বললেও হয়। আজ অবশ্য শুরু থেকে সুয়ারেজ ছিলেন না উরুগুয়ে দলে। অন্যদিকে পাঁজরে চোট পাওয়ার কারণে পর্তুগাল দলে ছিলেন না দ্যানিলো। ডিফেন্সের তার বদলে পেপে খেলেন। প্রথমার্ধে পর্তুগালের দাপট ছিল বেশি। বলের দখল ছিল ৭০ শতাংশ।
রোনাল্ডোর ফ্রিকিক নিশানায় থাকেনি। ফেলিক্স কাছাকাছি এসেও কাজের কাজ করতে পারেননি। উল্টে উরুগুয়ের বেন্টানকুর আর একটু হলে গোল পেয়ে যাচ্ছিলেন। চোট পেয়ে বেরিয়ে যান পর্তুগালের নুনো মেন্ডিস। তার জায়গায় আসেন গুয়েরেরো। ৫৪ মিনিটে ব্রুনোর ফ্রিকিক রোনাল্ডোর মাথায় লেগে জালে জড়িয়ে যায়।
প্রথমে মনে হয়েছিল গোল করেছেন রোনাল্ডো। কিন্তু তার মাথায় লাগেনি। গোল দেওয়া হয় ব্রুনোকে। দেশের জার্সিতে ১২ নম্বর গোল পেলেন তিনি। ৬৯ মিনিটে নেভেসের জায়গায় রাফায়েল লীয়াওকে নিয়ে এল পর্তুগাল। সুয়ারেজকে নিয়ে আসে উরুগুয়ে। গোমেজের শট পোস্টে প্রতিহত না হলে গোল পেয়ে যেতে পারত উরুগুয়ে।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময় হওয়া ঠিক আগে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল বক্সের মধ্যে উরুগুয়ের ডিফেন্ডার বল হাতে লাগিয়ে ফেলার কারণে। গোল করতে ভুল করেননি ব্রুনো ফার্নান্ডেজ। আজ তার জোড়া গোলেই ম্যাচটা জিতল পর্তুগাল। বিশ্বকাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলল তারা। ভাগ্য ভাল থাকলে এদিন ফার্নান্ডেজ হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারতেন। পোস্টে লেগে প্রতিহত না হলে। এই জয়ের সুবাদে রাশিয়া বিশ্বকাপে পরাজয়ের বদলা নিয়ে নিল পর্তুগাল।