আর্চার দীর্ঘদিন কনুই এবং পিঠের চোট কাটিয়ে উঠে আবার টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে প্রস্তুত। তিনি তার শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে। অ্যাটকিনসন হ্যামস্ট্রিংয়ের প্রথম ২ টেস্টে খেলতে পারেননি। পেস আক্রমণ আরও মজবুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইংল্যান্ডের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম বলেছেন, তিনি এমসিসি-র প্রধান গ্রাউন্ডসম্যান কার্ল ম্যাকডারমটের কাছে ‘আরও একটু গতি, বাউন্স ও সুইং’ সহ একটি পিচ চেয়েছেন।
advertisement
তিনি গত মাসের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন, যেখানে প্যাট কামিন্স ও কাগিসো রাবাদা বল সুইং করাতে সফল হয়েছিলেন। ম্যাককালাম ‘ইএসপিএনক্রিকইনফো’-কে বলেন, “এটা যে কোনো দিক থেকেই একটি ব্লকবাস্টার ম্যাচ হতে চলেছে। আমি মনে করি যদি পিচ পেসারদের সহায়তা করে, তবে এটা একটি দারুণ ম্যাচ হবে।”
ইংল্যান্ড এর আগে তাদের আক্রমণাত্মক খেলার ধরণ অনুযায়ী ফ্ল্যাট পিচকেই প্রাধান্য দিত। দলটি লিডসে বেশি বাউন্সযুক্ত পিচে খেলা প্রথম টেস্টে পাঁচ উইকেটে জয় পায়, কিন্তু এজবাস্টনের উপমহাদেশীয় ধরনের পরিবেশে তারা বড় ব্যবধানে হেরে যায়। আর্চার দ্বিতীয় টেস্টের আগে ইংল্যান্ড দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছিলেন। ম্যাককালাম বলেন, “সে অবশ্যই নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ থাকবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের পেসাররা প্রথম দুই টেস্টে ভালো পারফর্ম করেছে। আমাদের অ্যাটকিনসনের চোট থেকে সেরে ওঠার উপর নজর রাখতে হবে।”
আরও পড়ুনঃ IND vs ENG: জয়ের পরও লর্ডস টেস্টে বাদ ৩ তারকা! ভারতীয় দলে বড় পরিবর্তন! এমন কান্ড আগে ঘটেনি!
সব মিলিয়ে লর্ডস টেস্টে ইংল্যান্ডের পেস অ্যাটাক ও উইকেট দুই বদলে যেতে চলেছে। ফলে ভারতীয় ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ আরও বাড়তে চলেছে। তবে উইকেটে পেসারদের সহায়তা থাকলে ভারতীয় বোলাররাও আরও দাপটের সঙ্গে পারফর্ম করবে। জসপ্রীত বুমরাহ ফিরলে ভারতের পেস অ্যাটাকের শক্তি আরও বাড়বে। বার্মিংহাম আর লর্ডস টেস্টের মাঝে সময় কম। ভারতীয় দলকে দ্রুত তৈরি করে নিতে হবে পরিকল্পনা।
