ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাটা। প্রথম ইনিংসে পুরোপুরি ফ্লপ করে বাংলার টপ অর্ডার। ৩৪ রানের মধ্যে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিল অর্ধেক দল। সেখান থেকে শাহবাজ আহমেদ ও অভিষেক পোড়েল অর্ধশতরান করে দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচায়। প্রথম ইনিংসে ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে মনোজ তিওয়ারির দল। সৌরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন জয়দেব উনাদকাট ও চেতন সাকারিয়া।
advertisement
প্রথম ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমে দল গত ব্যাটিংয়ে ৪০৪ রানের বিশাল স্কোর করে সৌরাষ্ট্র। ম্যাচে থাকতে হলে যেখানে কম রানের মধ্যে প্রতিপক্ষকে আটকে রাখা দরকার ছিল তা ফাইনালের মঞ্চে করতে ব্যর্থ হন মুকেশ কুমার ঈশান পোড়েল, আকাশ দীপ, শাহবাজ আহমেদরা। সৌরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ ৮১ রানের ইনিংস খেলেন অর্পিত ভাসাভাদা। এছাড়াও অর্ধশতরান করেন হার্ভিক দেশাই, শেল্ডন জ্যাকসন, চিরাগ জানিরা। বাংলার হয়্ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন মুকেশ কুমার। প্রথম ইনিংসে ২৩০ রানের বিশাল লিড নেয় সৌরাষ্ট্র।
দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলার ব্যাটিম ভরাডুবি অব্যাহত থাকে। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ও অনুষ্ট্ুপ মজুমদার কিছুটা লড়াই করলেও তা যথেষ্ট ছিল না বাংলাকে ম্যাচে ফেরানোর জন্য। চতুর্থ দিনে মনোজ ও শাহবাজের ব্যাটে কোনও মিরাকল ঘটে কিনা সেই অপেক্ষাতেই ছিল বাংলার ক্রিকেট প্রেমিরা। তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ১৬৯ রানে ৪ উইকেট। সৌরাষ্ট্রের থেকে ৬১ রানে পিছিয়ে ছিল মনোজরা। কিন্তু চতুর্থ দিনে শাহবাজ ও মনোজ ফিরতেই বাংলার হার ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। বাংলার হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন মনোজ ও ৬১ করেন অনুষ্টুপ।
শেষ পর্যন্ত কোনও ক্রমে প্রথম সৌরাষ্ট্রের লিড পেরোয় বাংলা। ইনিংস হারের লজ্জার হার থেকে বাংলাকে বাঁচায় শেষ উইকেটে মুকেশ কুমার ও ইশান পোড়েলের পার্টনারশিপ। ২৪১ রানে শেষ হয় বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস। সৌরাষ্ট্রকে ১২ রানের টার্গেট দেয় বাংলা। এক উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে নেয় সৌরাষ্ট্র। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে ভারত সেরা হল জয়দেব উনাদকাটের দল।