আরও পড়ুন– শীতের আমেজ গোটা রাজ্যেই, তাপমাত্রা একই রকম থাকবে, কুয়াশার সতর্কতা সর্বত্রই
প্রতিযোগিতায় বাংলার আগের ম্যাচ ছিল ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে। ভিলাইতে সেই ম্যাচ শেষ হয় বৃহস্পতিবার। কিন্তু সেখান থেকে ফেরার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ে দল। বিমান না থাকায় শেষে বাসে করে রওনা হন কোচ সৌরাশিস লাহিড়ীর ছাত্ররা। সাধারণ ভলভো বাসে ৩০ ঘণ্টা যাত্রা করে বাংলা দল। রাত ১টা-র সময় যাত্রা শুরু করে রবিবার ভোরে কল্যানী পৌঁছয়ে বাংলা। দলের কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী বলেন, ‘‘বিসিসিআই একদিন করে ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তা করতে হয়নি। সব জায়গাতেই নির্দিষ্ট সময় খেলা শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ শুরু হয়েছে। তবে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। যেভাবে শিলিগুড়িতে যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে বাস ছাড়ে ঠিক সেই বাসগুলোতে ৩০ ঘণ্টা যাত্রা করতে হয়েছে। ক্রিকেটাররা চূড়ান্ত ক্লান্ত ছিল।’’
advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রায় দুই রাত না ঘুমিয়ে যাত্রা। তবে আর কোনও উপায় না থাকায় আমাদের বাস করেই আসতে হয়েছে। ম্যাচের আগে তাই অনুশীলন না করেই খেলতে নামতে বাধ্য হয়েছি আমরা।’’
বাংলার প্রতিপক্ষ এই রাউন্ডে গোয়া দল তিন ঘণ্টা বিমান লেট করার পর কলকাতায় পৌঁছে কল্যাণীতে যায়। তবে দুটি দল ম্যাচের আগে মাঠে পৌঁছালও তার থেকেও বড় সমস্যা দেখা দেয় সোমবার ম্যাচের দিন। বিমান বিভ্রাটে ম্যাচের এক আম্পায়ার এসে পৌঁছন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর।
ইন্ডিগো বিপর্যয়ে ভুগলেন ম্যাচের আম্পায়ার নীতিন পণ্ডিতও। বিমান সমস্যায় ম্যাচের আগে আসতে পারেননি তিনি। ম্যাচের সকালে কলকাতা পৌঁছে তিনি মাঠে আসতে আসতে শেষ হয়ে যায় প্রথম সেশনের খেলা। ফলে আর এক আম্পায়ার প্রকাশ কুমার একাই দু’প্রান্তে দায়িত্ব সামলালেন বাধ্য হন। আর দ্বিতীয় আম্পায়ার হিসেবে প্রথম সেশনে ছিলেন এক স্থানীয় আম্পায়ার। লেগ আম্পায়ার পজিশনে শুধু তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। কোনওরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে রেফার করে দেন। তবে শেষমেষ নীতিন পণ্ডিত মাঠে পৌঁছানোর পর দিনের বাকি সময় মাঠে উপস্থিত থাকেন। সোমবার থেকে কল্যাণীতে কোচবিহার ট্রফির ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলা ও গোয়া। প্রথম দিনের শেষে কিছুটা ভাল জায়গায় বাংলা দল। দিনের শেষে বাংলার রান ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯৩। রান পেয়েছেন আদিত্য রায় ৭৯ , আত্মজ মণ্ডল ৬৩, অভিরূপ বিশ্বাস ৫৬ ও অধিনায়ক চন্দ্রহাস দাস ৫৫ রান করে আউট হন।
বিমান বিভ্রাটে অবশ্য শুধু বাংলা কিংবা আম্পায়ার নন, একাধিক দলও সমস্যায় পড়ে। বাসে করে জম্মু থেকে নাগপুর যায় জম্মু কাশ্মীরের যুব ক্রিকেটারেরা। ঝাড়খণ্ডের দল প্রায় সারাদিন যাত্রা করে হাজারিবাগ পৌঁছয় কোচবিহার ট্রফির ম্যাচ খেলতে। মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব শেষ করার পর সিনিয়র দলগুলোরও ফেরার ক্ষেত্রে বিমানের টিকিট পাওয়া নিয়ে বিস্তর সমস্যা হচ্ছে বলে খবর। সবমিলিয়ে ইন্ডিগো বিমান বিভ্রাটে সমস্যায় ভারতীয় ক্রিকেট।
