সানরাইজার্স এই ম্যাচটা জয়ের ব্যাপারে ফেভারিট ছিল। ওয়াশিংটন সুন্দর এবং জানসেন দুজনেই বড় হিট মারতে পারেন। ১৮ নম্বর ওভারে ১৫ রান দিয়েছিলেন মুকেশ। তবু ইশান্ত শর্মাকে না দিয়ে মুকেশের ওপর শেষ ওভারে ভরসা রেখেছিলেন ওয়ার্নার। তেরো রান প্রয়োজন ছিল সানরাইজার্স দলের। মুকেশ দিলেন মাত্র পাঁচ রান। নিখুঁত ইয়র্কার বল করলেন বাংলার পেসার।
advertisement
হাত খোলার জায়গা পায়নি বিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা। বুঝিয়ে দিলেন তার ওপর ভরসা করে ভুল করেনি দল। সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার মূল্য কিছুটা হলেও ফেরত দিতে পেরেছেন। মুকেশ কুমারের প্রশংসা শোনা গিয়েছে কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরের মুখে। রঞ্জি ট্রফি টানা খেলার ফলে মুকেশ পুরোপুরি তৈরি এবং ফিট জানিয়েছেন সানি।
যারা ভাবেন রঞ্জি খেললে চোট হতে পারে মুকেশকে দেখে তাদের শেখা উচিত বলেছেন গাভাসকর। মুকেশ অবশ্য বলছেন নিজের মাথাটাকে যত সম্ভব ঠান্ডা রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। কারণ জানতেন উত্তেজিত না হলে তার সবকটা বল সঠিক জায়গায় পড়বে। এভাবেই নিজেকে নেটে ঘন্টার পর ঘন্টা তৈরি করেছেন। দলের বাকি ফাস্ট বোলাররা তাকে সাহায্য করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলাটাও কাজে লাগছে। তাই বাংলার মুকেশের এখন একটাই লক্ষ্য। যত বেশি সম্ভব ম্যাচ দিল্লিকে জয় এনে দেওয়া। দাদার দিল্লিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন বাংলার মুকেশ।