বাংলার হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন মনোজ। তার পর আক্ষেপের সুরে বলে গেলেন, “বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার মতো আমার মধ্যেও হিরো হওয়ার ক্ষমতা ছিল। কিন্তু হতে পারিনি। আজ যখন টিভিতে দেখি অনেকেই বেশি সুযোগ পাচ্ছে, তখন দুঃখ হয়।”
আরও পড়ুন- কোহলির ‘জীবনে’ শুধু অনুষ্কা নয়, রয়েছে আরও এক হট ‘সুন্দরী’! বলুন তো কে? রইল ছবি
advertisement
নিজের এত বছরের কেরিয়ারের সারসংক্ষেপ করতে বসে একটাই আক্ষেপ মনোজ তিওয়ারির। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন। সালটা ছিল ২০১১সালের ডিসেম্বর মাস। সেই ইনিংসের পর চোদ্দটি ম্যাচ বাইরে থাকতে হয়েছিল মনোজকে।
কেন বাইরে রাখা হয়েছিল তা নিয়ে সুযোগ পেলে মহেন্দ্র সিংকে প্রশ্ন করতে চান মনোজ তিওয়ারি। সতীর্থদের উষ্ণ বিদায় সংবর্ধনা এবং পরিচিতদের শুভেচ্ছায় ভেসে যাচ্ছেন তিনি।
চিরকালই আবেগপ্রবণ মনোজ তিওয়ারি। তিনি এদিন বলেন, এই আবেগের বন্যায় তিনি কতক্ষণ চোখের জল সামলাতে পারবেন জানেন না। সিএবির তরফে বিদায় বেলায় সোনার ব্যাট তুলে দিয়ে স্মরণীয় করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এক বছর আগে অবসরের কথা ঘোষণা করলেও স্ত্রী সুস্মিতার অনুরোধে তা প্রত্যাহার করেন। নিজের ক্রিকেট জীবনের এই যাত্রাপথে স্ত্রীর অবদানের কথা বারবার তুলে ধরলেন মনোজ।
আরও পড়ুন- কেকেআর তৈরি! এবার নতুন ‘হেডমাস্টার’, কলকাতায় নাইটদের প্রথম ম্যাচ কবে? বড় আপডেট
আপাতত ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়ে পরিবারকে সময় দিতে চান। তাঁর বেড়ে ওঠার পেছনে মা বাবার অবদানের কথাও শোনা গেল বারবার। বাবা প্রয়াত হয়েছেন ২০১৭সালে। মনোজের বিশ্বাস, যেখানেই বাবা থাকুন তিনি সব কিছু দেখছেন।
কুড়ি বছরের ক্রিকেট জীবনে রনজি ট্রফি জয় অধরা রয়ে গেল। মনোজ বলছেন, তা নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে। তবে সুযোগ পেলে কোচের চেয়ারে বসে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে চান।
ক্রিকেট জীবনের পরে এবার মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির পালা। আরও দুবছর বিধায়কের মেয়াদ রয়েছে। তার পর পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন।