আরও পড়ুন - ATK Mohun Bagan : বৃষ্টিতে বাতিল হয়ে গেল এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচ! হতাশ কোচ থেকে সমর্থক
কিন্তু সিএবি কর্তারা অরুণ লালের পরিবর্তে অনেক ভরসা করে দায়িত্বে এনেছেন লক্ষ্মীরতনকে। বাংলার ক্রিকেটে লক্ষ্মীরতন শুক্ল এবং মনোজ তিওয়ারির সম্পর্ক কিছুটা দাদা-ভাইয়ের মতো। বয়সের তফাত বছর চারেকের। দু’জনের বাড়িই হাওড়াতে। সেখান থেকে উঠে এসে বাংলার হয়ে ক্রিকেট খেলা, নেতৃত্ব দেওয়া। সেখান থেকে পা রাখা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
advertisement
এর পর রাজনৈতিক মঞ্চ। লক্ষ্মী রাজনীতি ছেড়ে ক্রিকেট মাঠে ফিরে এলেও মনোজ দু’টিই সামলাচ্ছেন পাল্লা দিয়ে। সেই দাদা-ভাইয়ের যুগলবন্দি দেখা গেল শনিবার ইডেনের জিমে। বাংলার অনুশীলনে দেখা গেল মনোজের শারীরিক ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছেন লক্ষ্মী। ইডেনের জিমে একটি চেয়ারের উপর একটি পা এবং একটি উঁচু জায়গায় পিঠ রেখে শুয়ে রয়েছেন মনোজ।
পায়ের দিকে দাঁড়িয়ে লক্ষ্মী একটি ফুটবল ছুড়ছেন। মনোজ সেটা ধরছেন এবং লক্ষ্মীর কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। মনোজ বলেছিলেন, খেলার সময় ভুল করলে দাদার মতো বলে দিত। কোচ হিসাবেও সেটাই করবে আশা করি। দীর্ঘ দিন এক সঙ্গে খেলেছি। সাজঘরে আমাদের সম্পর্ক আলাদা হবে, এমন নয়। কোচ এবং ক্রিকেটারের সম্পর্কই থাকবে।
বাংলার ক্রিকেটার হিসাবে ও যেমন অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে, আশা করব কোচ হিসাবে আমাদের রঞ্জি ট্রফি জিততে সাহায্য করবে। বাংলার অনুশীলনে সেটাই দেখা যাচ্ছে। বাংলার অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এবং প্রাক্তন অধিনায়ককে তৈরি করতে মন দিয়েছেন লক্ষ্মী।
বাংলা দলে শাহবাজ, অভিমুন্য, সুদীপ, অনুষ্টুপদের দক্ষতা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু মানসিকতার দিক থেকে আগ্রাসী করে তোলা প্রাথমিক কর্তব্য আগেই জানিয়েছিলেন লক্ষ্মী। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে কোনরকম ঘাটতি রাখতে চান না তিনি। নামিবিয়া সফরেও যাবে বাংলা। দেশের সেরা দল গড়ে তোলার শপথ নিয়েছেন লক্ষ্মী রতন শুক্লা। সেই লক্ষ্যে মনোজ তিওয়ারি তার অন্যতম সেরা অস্ত্র হতে চলেছে।