মাছে-ভাতে হবে কি না জানা নেই। তবে আগামী ৫ তারিখ থেকে রিও অলিম্পিকে সোনা-রুপোর স্বপ্ন দেখতেই পারে বাঙালি। কারণ, এবারের অলিম্পিকে সেই স্বপ্ন দেখার অনেক রসদ রয়েছে বঙ্গের কাছে। এক বা দু’জন নয়, মোট ন’জন বাঙালি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন ব্রাজিল অলিম্পিকে। তাই রিও’তে নতুন ব্রাজিলিয়ানার অপেক্ষায় শুরু হল প্রহর গোনা।
advertisement
লিয়েন্ডার পেজ
বয়স তাঁর কাছে স্রেফ সংখ্যামাত্র। তাই ৪৩ বছর বয়সেও অনায়াসেই জিতে ফেলতে পারেন ১৮ তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম। আর দেশের জন্য এখনও খেলতে মরিয়া তিনি। তাই বেকবাগান রো-র লিয়েন্ডার পেজ এই অলিম্পিকে বাঙালির পয়লা নম্বর বাজি।
মৌমা দাস
দশ বছর আগে এথেন্স অলিম্পিকে তাঁকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। দশ বছর পর পরিস্থিতি অনেকটা আলাদা। তাই তিরিশ পেরিয়েও পদক জয়ের স্বপ্ন দেখেন মৌমা। ভারতীয় টেবল টেনিসে বঙ্গ তনয়াকে ঘিরে স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে।
অনির্বাণ লাহিড়ি
ইউরোপ-এশিয়া তাঁর ছোঁয়া পেয়েছে। এবার অপেক্ষা অলিম্পিকের। বেঙ্গালুরুই তাঁর কাছে বাংলা। তবুও অলিম্পিক গলফে অনির্বাণই যেন নতুন আলো। এবারই প্রথম অলিম্পিকের আসরে গলফ। আর তাতেই অনির্বাণের মধ্যে নতুন জ্যোতি দেখতে পাচ্ছে বাঙালি।
শিবশঙ্কর চৌরাশিয়া
বয়স ৩৮। তাতে অবশ্য দমানো যায় না এসএসপি-কে। টালিগঞ্জের গলফের মাঠ থেকে রিও’র গলফ আর্কেড। চোখ থাকবে গলফের আর এক বঙ্গসন্তান শিবশঙ্কর প্রসাদ চৌরাশিয়ার দিকেও।
অয়নিকা পাল
গ্লাসগোয়ে সোনা জিতে, দু’বছর আগেই ফোকাসে এসেছিলেন। ছেলেদের মধ্যে যদি জিতু রাই হন, তা-হলে ভারতীয় শুটিংয়ে এবার মহিলারা তাকিয়ে থাকবেন এই বাঙালির দিকে। তিনি মুম্বইয়ের অয়নিকা পাল।
সৌম্যজিৎ ঘোষ
চার বছর আগের অলিম্পিকের অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। দু’বছর আগেও কমনওয়েলথ গেমস থেকে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। তবে এবার সৌম্যজিৎ তৈরি। ভারতের এক নম্বরের থেকে প্রত্যাশা অনেক।
দীপা কর্মকার
প্রোদুনোভা। মানে শূন্যে থেকে আড়াই পাক ডিগবাজি। ভারতীয় ক্রীড়ার শব্দকোষে এই শব্দটা যুক্ত হয়েছে দীপার নামের সঙ্গে। যিনি
ব্রাজিল যাওয়ার আগেই ইতিহাস তৈরি করেছেন। স্বাধীনতার পর প্রথম মহিলা হিসেবে অলিম্পিকের জিমন্যাসটিক্সে আগরতলার এই মেয়ে। অলিম্পিক যাওয়ার আগে সিন্দুকে রয়েছে কমনওয়েলথ ব্রোঞ্জ এবং এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ।
অতনু দাস
দোলা নেই, রাহুল নেই। তাতে কী ভারতীয় তিরন্দাজিতে অতনু আছেন। ২৪ বছরের কলকাতার এই ছেলে অলিম্পিকে ভারতীয় পুরুষ দলের অন্যতম মুখ। কারণ, বিশ্বকাপে ব্যক্তি ও দলগত ইভেন্টে সদ্য রুপো আর ব্রোঞ্জ জিতেছেন টাটা স্পোর্টস অ্যাকাডেমির এই ছাত্র।
দেবশ্রী মজুমদার
নদিয়ার বেথুয়াডহরি এই মেয়ে বাংলার ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে এই মুর্হূতে এক নম্বর। তবে রিও’র ট্র্যাকে কতটা তিনি সুযোগ পাবেন, তা নিয়ে একটা সন্দেহ আছে। তবুও মহিলা রিলে দলের দেবশ্রীকে নিয়ে আশা ছাড়া যাচ্ছে না।