এদিন ম্যাচের প্রথম থেকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার করে খেলতে শুরু করে বেলজিয়াম। বল পজিশন নিজেদের দখলে আক্রমণ গড়ে তোলার চেষ্টা করে উইটসেল, থর্গান হ্যাজার্ড, কেভিন ডি ব্রাউনরা। ম্যাচের প্রথমার্ধে ৭০ শতাংশ বল পজিশন দখলে রেখেছিল রবের্তো মার্টিনেজের ছেলেরা। অপরদিকে, রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাওয়ার রণনীতি নেয় মরক্কো। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে মরক্কোর একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। প্রথমার্ধে বেলজিয়ামের প্রভাব বেশি থাকলেও শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দল।
advertisement
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে খোলস ছেড়ে বেরোয় মরক্কো। আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের ছেলেরা। বল পজিশন বেলজিয়ামের বেশি থাকলেও কাজের কাজ দ্বিতীয়ার্ধে করে ফেলে মরক্কো। গোটা ম্যাচে গোলে ৩টি শট করে বলেজিয়াম ও ৪টি শট করে মরক্কো। তার মধ্যে ২ বার জালে বল জরিয়ে দেয় মরক্কোর ফুটবলাররা। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে দুরন্ত গোল করে দলকে লিড এনে দেন আবদেলহামিদ সাবিরি।
আরও পড়ুনঃ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো কী এবার এশিয়াতে খেলবেন, পেলেন রেকর্ড টাকার প্রস্তাব
গোল হজম করার পর তা শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বেলজিয়াম। রবের্তো মার্টিনেজের ছেলেরা একাধিক আক্রমণ গড়ে তুললেও মরক্কোর রক্ষণকে ভাঙতে পারেনি কেভন ডি ব্রুইন, রোমেলি লুকাকু, টেলিমানসরা। উল্টে ম্যাচের ইনজুরি টাইমে আরও একটি গোল খেয়ে বসে বেলজিয়াম। জাকারিয়া আবুখালালের গোলে ব্যবধান ২-০ করে মরক্কো। এই ম্যাচ জয়ের ফলে একটি ড্র ও একটি জয় ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ এফ-এর শীর্ষ পৌছে গেল মরক্কো।