প্রথম টি-২০ ম্যাচে দেড়শো রানের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি ভারত। স্বাভাবিকভাবেই উঠছে বেশ কিছু অপ্রিয় প্রশ্ন। রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচেও যদি ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে সমালোচনার ঝড় বাড়তি গতি পাবে। প্রশ্নের মুখে পড়বেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজ শুরু হয়েছিল ত্রিনিদাদে।
রবিবার গায়ানায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে রীতিমতো চাপে টিম ইন্ডিয়া। হার্দিক পান্ডিয়ার দলের ৪ রানে পরাজয়ে ফুটে উঠছে ব্যাটিং দুর্বলতা। শুভমান গিল, ঈশান কিষান, সঞ্জু স্যামসন, সূর্যকুমার যাদবদের মতো তারকাদের সেরা ফর্মে না থাকা চিন্তায় রাখছে সমর্থকদের। হার্দিকও তো জয়ের স্টেশনে দলকে পৌঁছে দিতে পারেননি। তবে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল টেলএন্ডার।
বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার চারজন ‘নাম্বার ইলেভেন’ নিয়ে নেমেছিলেন হার্দিকরা। অর্থাৎ, সাতে অক্ষর প্যাটেল পর্যন্ত ব্যাট করার ক্ষমতা ধরেন, পরের চারজনই আয়ারাম-গয়ারাম। ত্রিনিদাদে শেষ ওভারে জয়ের জন্য দশ রান দরকার ছিল। কিন্তু ভারতের টেলএন্ডাররা তা করতে না পারায় এই চর্চা জোরদার।
মুশকিল হল, শার্দূলের অনুপস্থিতিতে স্কোয়াডে অক্ষর ছাড়া অলরাউন্ডার নেই। আসলে আবার অনেকে মনে করেন যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি তাদের বিরুদ্ধে সিরিজ খেলতে যাওয়াটা ক্রিকেটারদের কষ্ট দেওয়া ছাড়া কিছু নয়। এর থেকে এক মাস বিশ্রাম দিয়ে যদি অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ খেলা যেত কাজের কাজ হত।
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা মনে করেন একদিনের ক্রিকেটের ম্যাচ প্র্যাকটিসের মধ্যে থাকা আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ম্যাচ প্র্যাকটিসের মধ্যে থাকার মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। মানসিকভাবে একজন ক্রিকেটারের সামনে যখন বিশ্বকাপ তখন যেন তাকে টি-টোয়েন্টি খেলতে বাধ্য করা হচ্ছে এর কোন যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা নেই।
পুরোটাই কি তাহলে পয়সা কামানোর খেলা? প্রাক্তনদের এমন মতামতের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিসিসিআইকে গালাগালি দিচ্ছেন ভারতের ক্রিকেট ভক্তরা। ক্রিকেটের যুক্তিতে বিচার করলে এই গালাগালি খাওয়াটা অত্যন্ত স্বাভাবিক।