যারা সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সাফল্যও পেয়েছে। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাসকিনের নামের পাশে উইকেট ছিল মাত্র ২টি। এবার ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট আর শেষ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সিরিজ সেরা। ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে দেশে ফেরার আগে তাসকিন জানালেন নিজের নতুন লক্ষ্য। তাসকিন বলেন, সবারই লক্ষ্য আমরা যাতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পারি।
advertisement
এই স্বপ্ন নিয়ে আমরা দলগতভাবে পরিশ্রম করি। দলের সবাই অনেক মেহনত করে এখন। সবার পেশাদারিত্বও এখন অন্যরকম। তাছাড়া ফাস্ট বোলিং ইউনিটটা গত দু বছর ধরে অনেক কষ্ট করছে। আমাদের কোচিং স্টাফের সবাই অনেক সমর্থন দেয়। সুজন স্যারও অনেক সাহায্য করে আমাদের মতো তরুণ পেসারদের। আমাদের ঐক্য যদি ঠিক থাকে, যদি উন্নতি চালিয়ে যেতে পারি এবং সবচেয়ে বড় কথা, সবাই যদি ফিট থাকি তাহলে ভাল কিছু একটা সম্ভব।
অথচ এই তাসকিন এক সময় দল থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন। কাউকে দোষ না দিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি আবারও দলে ফিরে আসেন। নিজের উপলব্ধি নিয়ে এই পেসার বলেন, খেলোয়াড় হিসেবে সব সময় স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলার। হয়তো সেরা একাদশে সুযোগ পাইনি, ওই সময় খুব কষ্ট হত। পরে ভাবলাম যে, আমি যেহেতু পিছিয়ে গেছি শারিরীক-মানসিক এবং দক্ষতার দিক দিয়ে, তো আমাকে এমন কিছু করতে হবে যাতে আবার সুযোগ পাব।
এই ভাবনা থেকেই ইচ্ছা তৈরি হয়েছে যে আমি নিজেকে বদলাতে চাই। এখনও অনেক প্রক্রিয়া বাকি, কাজ চলছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ফাস্ট বোলিং কোচ কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা জানিয়েছেন আগামী কয়েক বছরে পাকিস্তান এবং ভারতের ফাস্ট বোলিং ইউনিটকে চ্যালেঞ্জ জানাবে বাংলাদেশ। প্রতিভা আছে, পরিশ্রম করার খিদে আছে। কোচ হিসেবে পেসারদের শুধু নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর টেকনিক শেখাবেন তিনি।