এমনকি এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নতুন টেকিনক্যাল পরামর্শক হিসেবে ভারতের শ্রীধরন শ্রীরামকেও নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। কিন্তু সাকিব মনে করেন, রাতারাতি সব পাল্টে যাবে না। এমন ভাবাটা হবে বোকার রাজ্যে বাস করার সমান। শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে আসন্ন এশিয়া কাপে দলের লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাকিব বলেন, দেখুন, আমার কাছে কোনো লক্ষ্য নেই।
advertisement
আমার লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বকাপে গিয়ে যেন ভাল কিছু করতে পারি। যদি আমি মনে করি, এখনই এক দিন-দুই দিনে কিছু পরিবর্তন করে ফেলব বা অন্য কেউ এসে পরিবর্তন করে দিতে পারবে, তেমনটা ভাবা হবে আসলে বোকার রাজ্যে বসবাস করা। তিন মাস পর আমরা যখন বিশ্বকাপ খেলব, তখন যদি উন্নতি দেখতে পারেন ওটাই আসলে আমাদের আসল উন্নতি।
২০০৬ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর এখন অবধি ১৩১টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জিতেছে ৪৫টিতে আর পরাজিত হয়েছে ৮৩ ম্যাচ। এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলা ছাড়া বড় কোনো সাফল্য নেই। এর আগেও বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাকিব।
তার অধীনে ২১ ম্যাচে ৭ জয় ও ১৪টি হারের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান নিজেও জানিয়েছেন সাকিব যখন দলের অধিনায়ক, তখন তাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করা এবং সাহায্য করা বোর্ডের লক্ষ্য। কারণ তার চেয়ে ভাল অলরাউন্ডার বাংলাদেশের নেই।
অভিজ্ঞতায় পরিপুষ্ট তিনি। পাপন আশাবাদী নতুন বাংলাদেশ সাকিবের নেতৃত্বে এশিয়া কাপে লড়াই করবে। কিন্তু তাদের আসল লক্ষ্য বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।