তারপর থেকে স্বাভাবিকভাবে প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু টোকিও অলিম্পিকের আগে রাশিয়ায় প্রস্তুতি নেওয়ার সময় হাঁটুতে চোট পান। সেই কারণে নিজের ফিটনেস এর দিক থেকে কিছুটা কমতি ছিলেন অলিম্পিকে। সেদিক থেকে দেখলে কাজাকাস্তানের হাজি আলিয়েভকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জয় খুব একটা খারাপ পারফরমেন্স ছিল না।
এবার বার্মিংহামে বজরং সোনা জিততে পারেন, এমন সম্ভাবনা যথেষ্ট। তিনি নিজেও আত্মবিশ্বাসী। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন আমেরিকায়। তবুও হাঁটুর চোট পুরোপুরি সেরেছে এমন নয়। টেকনিক্যালি নিজের খেলার কয়েকটা দিক পরিবর্তন করেছেন তিনি।
ব্যক্তিগত কোচ সুজিত মান মনে করেন বজরং টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিততে না পারার দুঃখ ভুলতে চাইবেন বার্মিংহামে সোনা জিতে। প্রচন্ড ফোকাসড মনে হচ্ছে তাকে। খালি ট্রেনিং এবং বিশ্রামের বাইরে বেশি কথা বলছেন না। আসলে চ্যাম্পিয়নরা যে এরকমই হন।
বজরং নিজেও জানেন তিনি দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি জাপানে। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে হয়েছে। এমনকি এবার কমনওয়েলথ সোনা জিতলেও সেটা অলিম্পিকের সমতুল্য হবে না। তবু ও নিজেকে পূজার করে দিতে চান সুশীল কুমার, যোগেশ্বরদের উত্তরসূরী।