আর তাতেই নির্বাচন এড়িয়ে কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে। প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রকের পছন্দ ছিলেন কল্যাণ চৌবে। কেন্দ্রের শাসক দলের তরফে বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার ফুটবল কর্তাদের কাছে এই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়, কল্যাণকেই সভাপতি পদে সমর্থন করতে। তারপর গোটা বিষয়টি অন্য মাত্রা পায় দিল্লির হোটেলের রাতের বৈঠকে।
advertisement
বিজেপি নেতা কল্যাণের মতো কংগ্রেস নেতা তথা কর্নাটক রাজ্য ফুটবল সংস্থার এন এ হ্যারিস সর্বসম্মতভাবেই সহ সভাপতি পদে বসছেন। অরুণাচল ফুটবল সংস্থার কিপা অজয় ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ হচ্ছেন সর্বসম্মতভাবেই। বিজেপি ও কংগ্রেসের মেলবন্ধনের ছবিই উঠে এসেছিল গতকাল দিল্লির এক হোটেলে এআইএফএফ নির্বাচনে ভোটাধিকার থাকা রাজ্য সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের বৈঠকে।
সেখানেই নতুন কমিটিতে কে কোন পদে থাকবেন তা চূড়ান্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদসংস্থা আইএএনএস। কার্যকরী কমিটি তৈরির পরেই দিল্লি ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট সাজি প্রভাকরণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল হবেন বলে জানা যাচ্ছে। এআইএফএফ সভাপতি নির্বাচনে স্ট্রাইকার বনাম গোলকিপারের লড়াই হচ্ছেই।
আজ পরিস্থিতির নাটকীয় বদল ঘটেছে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়ার সিদ্ধান্তে। গতকাল দিল্লির এক হোটেলে বিভিন্ন রাজ্য ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছিল, সর্বসম্মতিক্রমেই পরবর্তী ফেডারেশন সভাপতি হবেন দেশের প্রাক্তন গোলকিপার তথা বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। কিন্তু আজ ফের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ভাইচুং ভুটিয়া।
আজ সকাল পর্যন্ত যা পরিস্থিতি ছিল তাতে বোঝা যাচ্ছিল, ফেডারেশনের দায়িত্বে কারা আসবেন তা ভোটাভুটি এড়িয়েই নিশ্চিত সম্ভব হবে। যদিও বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। হারবেন জেনেও ভোটে লড়ছেন পাহাড়ি বিছে।