১৮ বছর বয়সী আয়ূষ দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৮০ বলে ১২৬ রান করেন। এই ইনিংসে ছিল ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো। তিনি ৬৪ বলেই নিজের শতরান পূর্ণ করেন এবং ৬৮তম বলে ছক্কা মেরে বৈভব সূর্যবংশীর আগের রেকর্ডটি ভেঙে দেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, যে বোলারের বলে আয়ুষ রেকর্ডটি ভাঙেন, সেই অ্যালেক্স গ্রিনই দুই ইনিংসে বৈভবকে আউট করেন।
advertisement
গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যুব টেস্টে অভিষেকের সময় আয়ুষ দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন । তিনি তার অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ বলে ১০৪ রান করেছিলেন । বামহাতি ওপেনার বৈভব তার শতক ইনিংসে ১৪টি চার এবং ৪টি ছক্কা মারেন । এই সময় তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৭.৭৪ । এটি ছিল অনূর্ধ্ব ১৯ যুব টেস্টে ১৫০ বা তার বেশি স্ট্রাইক রেটে করা সর্বোচ্চ স্কোরের বিশ্ব রেকর্ড, যা এখন আয়ুষের নামে ।
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ৩২৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে ভারত ২৭৯ রান তোলে, যেখানে বিহান মালহোত্রা করেন ১২০ ও আয়ূষ করেন ৮০ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ৩৫৫ রানের লক্ষ্য দেয়। ভারত শেষ দিনে ৬ উইকেটে ২৯০ রান তোলে ও খেলা ড্র হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে আয়ূষ ছাড়া কেউ বড় স্কোর করতে পারেননি, বিশেষ করে বৈভব শূন্য রানে আউট হন।
এই টেস্ট সিরিজে আয়ূষের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। তিনি ৪ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ-সেঞ্চুরি সহ ৩৪০ রান করেন। অন্যদিকে মিডল অর্ডারে বিহান মালহোত্রা ২৭৭ রান করেন। বোলিংয়ে আদিত্য রাওয়াত ও আর অম্বরীশ সর্বাধিক ৬টি করে উইকেট শিকার করেন।
যেখানে ওয়ানডে সিরিজে বৈভব সূর্যবংশী আলো ছড়িয়েছিলেন, সেখানে টেস্ট সিরিজে আয়ূষ সম্পূর্ণভাবে প্রভাব বিস্তার করেন। এই সিরিজ ড্র হলেও, আয়ূষের বিশ্বরেকর্ড ও ধারাবাহিক ব্যাটিং পারফরম্যান্স ভারতীয় দলের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে।