ব্যাকহিল ধরে দিমিত্রি বক্সের মধ্যে মাপা মাইনাস করেন। বল ধরে মনবির বা পায়ের প্লেসমেন্টে গোল করতে ভুল করেননি। এটা ছাড়াও প্রথমার্ধে আরো দুটো সুযোগ তৈরি করেছিল এটিকে মোহনবাগান। হুগো মাঝেমধ্যে জায়গা বদল করছিলেন দিমিত্রির সঙ্গে। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল আসেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা আক্রমনাত্মক হওয়ার চেষ্টা করে চেন্নাইন। জুলিয়াস, কাড়িকাড়ি, অনিরুদ্ধ থাপা চাপ দিতে থাকেন মোহনবাগান রক্ষণের ওপর। ৬৩ মিনিটে ম্যাচের সমতা ফিরিয়ে আনে চেন্নাই। জুলিয়াসের বাড়ানো বল পেনাল্টি বক্সের মধ্যে যখন কারিকরি রিসিভ করতে যাবেন, তাকে ফাউল করে বসেন গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি ক্রিস্টাল জন। গোল করতে ভুল করেননি ঘানার স্ট্রাইকার।
advertisement
আসিস রাইয়ের বদলে কার্ল এবং দিমিত্রির বদলে লিস্টনকে নিয়ে আসেন কোচ। কিছুটা খেলায় ফেরার চেষ্টা করে মোহনবাগান। কিন্তু বক্সের মধ্যে কাজের কাজ অর্থাৎ জয় সূচক গোলটাই আসছিল না। ৮৩ মিনিটে উল্টে আরো একটা গোল হজম করল এটিকে মোহনবাগান। সেই কারি কারি বল বাড়ালেন বক্সে। রহিম আলি দুর্দান্ত শটে পরাস্ত করেন মোহনবাগান গোলরক্ষককে।
এরপর অবশ্য একটা দুর্দান্ত ফ্রিকিক থেকে সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। লাস্টনের শট বাঁচিয়ে দিলেন দেব জিৎ। হুগোর কর্নার থেকে ফারদিন মোল্লার হেড উপর দিয়ে বেরিয়ে গেল। মাঝে ১০ মিনিট নিভে গিয়েছিল মাঠের ফ্লাড লাইট। বন্ধ ছিল খেলা। তার আগে পর্যন্ত মোহনবাগান এগিয়েছিল। বলা যায় এটাই যেন দুর্ভাগ্যের প্রতীকি। এরপর আর কি অজুহাত দেবেন হুয়ান সেটাই দেখার। তবে যে রোগে আক্রান্ত ছিল মোহনবাগান ডুরান্ড কাপ এবং এএফসি কাপে, সেই রোগ এখনও সারেনি।