কিন্তু প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে কাজের কাজ করে গেলেন রয় কৃষ্ণ। একটা সাধারণ বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে জঘন্য ফাউল করে বসলেন শুভাশিস বসু। সুনীল ছেত্রী বিশাল কাইতকে সুযোগ না দিয়ে বলটা জালে পাঠিয়ে দিলেন। সমতা ফিরিয়ে আনল বেঙ্গালুরু। সুনীল দেখিয়ে দিলেন তিনি চাপের মধ্যে ভুল করেন না। সেকেন্ড হাফ শুরু হতেই দুই দলের ম্যানেজার দুটি পরিবর্তন করলেন।
advertisement
বেঙ্গালুরু ইভানভিচকে তুলে নিয়ে পেরেজকে নামাল। এটিকে মোহনবাগান জোড়া পরিবর্তন করল। নিয়ে আসা হল হানামতে এবং লিষ্টনকে। তার একটা দুর্দান্ত শট বাঁচিয়ে দিলেন গুরপ্রিত। ফিরতি বল গোল করতে পারলেন না দিমিত্রি। এরপর দুই দলের খেলা মাঠের মাঝখানে আটকে যাচ্ছিল বারবার। দুটো দল কেউই মাঝমাঠের দখল হারাতে রাজি ছিল না। তাই সুযোগ তৈরীর থেকে খেলাটা বেশি জড়িয়ে যাচ্ছিল।
সুনীল প্রয়োজনে একটু নিচে এসে বল ধরছিলেন। মোহনবাগানের খেলা তৈরির দায়িত্ব থাকা হুগোকে জায়গা দিচ্ছিল না বেঙ্গালুরু। ৭৭ মিনিটে হঠাৎ করেই মোহনবাগান ডিফেন্সের ভুল কাজে লাগিয়ে গোল করে গেলেন কৃষ্ণ। বিশাল পৌঁছানোর আগে হেডে বল জালে জড়িয়ে দিলেন রয় কৃষ্ণ। জবাব দিয়ে গেলেন মোহনবাগানকে। তার সঙ্গে জবাবটা ছিল কোচ জুয়ানকে। নায়করা এভাবেই ফিরে আসতে জানেন।
কিন্তু এরপর গায়েগো এবং কিয়ানকে নামিয়ে শেষ চেষ্টা করলেন মোহনবাগান কোচ। তাতে লাভ হল। একটা পেনাল্টি আদায় করলেন কিয়ান। ২-২ করলেন দিমিত্রি। একটা বাইসাইকেল কিক করলেন সুনীল যেটা বাইরে চলে গেল। খেলা চলে গেল অতিরিক্ত সময়। তবে প্রবীর দাস একটি গোল লাইন সেভ না করলে হয়তো খেলা অতিরিক্ত সময় যেত না।
অতিরিক্ত সময় শুরু হতেই জাভিকে তুলে নিয়ে উদানতকে নিয়ে এল বেঙ্গালুরু। মোহনবাগান কার্লকে তুলে নিয়ে নিয়ে আসে হামিলকে। তবে তিনি ও গোড়ালিতে চোট পেয়ে যাওয়ার কারণে নামাতে হল সুমিতকে। অতিরিক্ত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর খেলা চলে গেল টাইব্রেকারে। এরপর ভাগ্য এবং দুই গোল রক্ষকের ওপর নির্ভর করছিল সবকিছু। পেনাল্টি শুট আউটে মোহনবাগানের নায়ক আবার গোলরক্ষক বিশাল কাইট। ব্রাজিলিয়ান ব্রুনোর শট আটকে দিলেন। বাইরে মেরে বসলেন পেরেজ। ৪-৩ জিতে চ্যাম্পিয়ন এটিকে মোহনবাগান।