২৪ বছর বয়সী ইয়েররাজি জ্যোতি, বিশাখাপত্তনম শহরের কৈলাসাপুরমের বাসিন্দা। বাবা, মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে পাহাড়ের ঢালে একটি ছোট বাড়িতে থাকেন তিনি। মা-বাবা দিনমজুর। অভাব সংসারে নিত্যসঙ্গী।
“জ্যোতি তার শৈশব থেকেই খেলাধুলায় খুব সক্রিয় ছিল, বিশেষ করে দৌড়ে। স্কুল পর্যায়ে ওর শিক্ষকরা উৎসাহ দেন। আমাদের ভাল খাবার দেওয়ার সামর্থ নেই। কিন্তু প্রিন্সিপাল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সাহায্য করবেন। জ্যোতি দশম শ্রেণিতে ওঠার আগেই বেশ কয়েকটি পদক জিতেছিল।” জ্যোতির মা ইয়েররাজি কুমারী লোকাল ১৮-কে জানিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- সেমিফাইনালের আগে বড় ধাক্কা? ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে খারাপ খবর ভারতীয় শিবিরে!
স্কুলের গণ্ডি পেরনোর পর কিছু মানুষের সহায়তায় জ্যোতি যান হায়দরাবাদে। সেখানে নামকরা কোচদের সান্নিধ্যে থাকতে শুরু করেন। ট্রেনিং করেন। শুরুতে জ্যোতির প্রতিভা দেখে অবাক হয়েছিলেন কোচরা। জেলা এবং রাজ্য-স্তরের প্রতিযোগিতার জন্য পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। জ্যোতি একের পর এক পদক জেতেন।
—- Polls module would be displayed here —-
“হায়দরাবাদ থেকে জ্যোতি ওড়িশায় গিয়েছিল। স্পোর্টস হোস্টেলে যোগ দেয় ও। আরও ভাল পরিকাঠামোয় অনুশীলন করে। জ্যোতি বর্তমানে রিলায়েন্সের উৎসাহে এগিয়ে যাচ্ছেন। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন নীতা আম্বানি সহযোগিতা করেছেন। রিলায়েন্সের উৎসাহে জ্যোতি এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা খুব খুশি।” জ্যোতির মা ইয়েররাজি কুমারী লোকাল 18-কে জানিয়েছেন।
লোকাল 18- এর সাথে কথা বলতে গিয়ে জ্যোতির ভাই ইয়েররাজি সুরেশ বলেছেন, “আমরা ওকে সঠিক প্রশিক্ষণ দিতে পারিনি। কারণ আমরা খেলাধুলা সম্পর্কে সচেতন ছিলাম না। ওর প্রতিভার স্বীকৃতি দেন স্কুলের শিক্ষকরা। জ্যোতি জাতীয় স্তরে একটি পদক জেতার পর সবাই ওর ক্রীড়া প্রতিভা সম্পর্কে জানতে পেরেছিল।”
আরও পড়ুন- IND vs ENG: ভারত-ইংল্যান্ড সেমিফাইনালের নিয়মে বড় বদল!ম্যাচের আগে জেনে নিন আপনিও
জ্যোতি বর্তমানে পঞ্চকুলায় একটি আন্তঃরাজ্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন। ২৬ জুলাই, ২০২৪ থেকে প্যারিসে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।