#রাজকোট: ভারতের ২২৮ রান স্কোরবোর্ডে ওঠার পর শ্রীলংকার পক্ষে কাজটা যে কার্যত অসম্ভব, সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। আশ্চর্য কিছু না ঘটলে, করুণারত্নে, মেন্ডিসদের পক্ষে হার বাঁচানো কঠিন বোঝা গেছিল। শুধু দেখার ছিল কত রান পর্যন্ত তাড়া করতে পারে শ্রীলংকা। নিঃশঙ্ক (১৫), মেন্ডেস (২৩) ওপেনিং জুটিতে বেশি করতে পারেননি।
advertisement
আবিষ্কা (১), ধনঞ্জয় (২২) মিডল অর্ডার ব্যর্থ। আসলে পাহাড় প্রমাণ নাম থাকলে তাড়া করা সব সময় কঠিন সেটা আবার প্রমাণিত হল। লঙ্কার অধিনায়ক শানাকা কিছুটা লড়াই করার সাহস দেখাবেন জানা ছিল। সেই চেষ্টাও তিনি করলেন। কিন্তু ভারতের রান এতটাই ছিল লঙ্কার পক্ষে শুধু পরাজয়ের গ্লানি কমানো ছাড়া কাজ ছিল না।
বল হাতে অধিনায়ক হার্দিক দুটি উইকেট তুলে নিলেন। তার নেতৃত্বে সিরিজ জয় ঘরের মাঠে। হার্দিক প্রমাণ করলেন নির্বাচকরা তাকে দায়িত্ব দিয়ে ভুল করেননি। শনাকা (২৩) ফিরে গেলেন অর্শদীপ সিং এর বলে। উমরান নিলেন দুটি উইকেট।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি। ঈশান কিষান একটি রান করে প্রথম ওভারেই ফিরে গেলেন। মধুশঙ্কার বাউন্স সামলাতে পারেননি। এই পর অবশ্য তিন নম্বরে নেমে রাহুল ত্রিপাঠী ১৬ বলে ৩৫ রানের একটা দেখার মতো ইনিংস খেললেন। মূলত তার জন্যই পাওয়ার প্লে আজ ভাল কাজে লাগাল ভারত।
শুভমন গিল অবশ্য বল প্রতি রান করছিলেন। সেভাবে বড় শট খেলতে পারছিলেন না। অন্যদিকে ছিলেন সূর্য কুমার। কিছুটা সেট হয়ে গিয়ে নিজের স্বাভাবিক আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেন সূর্য। বিশেষ করে ব্যাকফুটে দেখার মত মারলেন। স্কুপ করলেন কবজির জোরে। ২৬ বলে ৫০ পূর্ণ করে ফেললেন সূর্য।
তিনি সম্পূর্ণ অন্য জাতের ব্যাটসম্যান আবার বুঝিয়ে দিলেন। ভারতের মিস্টার ৩৬০ প্রায় ছেলে খেলা করলেন লঙ্কার বোলারদের নিয়ে। স্পিনার হোক বা পেসার, সূর্যের দাপটের কাছে অসহায় লাগছিল তাদের। শুভমন গিল ৪৬ করে ফিরলেন। কিন্তু অন্যদিকে সূর্য কুমার যেখানে ইচ্ছে সেখানে মারছিলেন। ৪৫ বলে শতরান পূর্ণ করলেন সূর্য। এই নিয়ে তিন নম্বর সেঞ্চুরি হয়ে গেল তার।
কেন তিনি পৃথিবীর সেরা আবার দেখিয়ে দিলেন। শেষদিকে অক্ষর প্যাটেল কিছু রান তুললেন। অর্শদীপ সিং আগের ম্যাচ জঘন্য বল করলেও আজ তিনটি উইকেট নিয়ে প্রমাণ করলেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। ভারত বিশাল ব্যবধানে সিরিজ জিতল।