ফ্রান্স - ৩
টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা জয়ী ৪-২ গোলে
#দোহা: বছর চারেক আগে রাশিয়ার মাটি থেকে এই ফ্রান্সের কাছে হেরেই চোখের জল ফেলতে ফেলতে বিদায় নিতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। এবার চার বছর পর দেখার ছিল আর্জেন্টিনা হিসেবে বদলাতে পারে, নাকি পরপর দুবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে ৬০ বছর আগের রেকর্ড স্পর্শ করে ফ্রান্স। দোহার মাঠে অবশ্য ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট বেশি ছিল আর্জেন্টিনার। নিজেদের দখলে বল রেখে মাটিতে অসংখ্য পাস খেলে চলেছিল নীল সাদা জার্সিধারীরা।
advertisement
বাইশ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়াকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিলেন দেমবেলে। রেফারি পেনাল্টি দিতে ভুল করেননি। লিওনেল মেসিও গোল করতে ভুল করেননি। হুগো লরিস সুযোগ পাননি বল আটকানোর। ৩৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল। মেসির ফ্লিক থেকে ম্যাক আলুষ্টার মাইনাস রাখেন ডি মারিয়ার উদ্দেশ্যে। বাঁদিক থেকে বল ফলো করে উঠে আসা অভিজ্ঞ উইঙ্গার বল জালে জড়িয়ে দিতে ভুল করেননি।
প্রথমার্ধে দুটো গোল পেয়ে গেলেও ম্যাচে এক মুহূর্তের জন্য গা
ছাড়া দেয়নি আর্জেন্টিনা। ডিফেন্সে রোমের, নিকোলাস, ট্যাগলিফিকো, মলিনা দুর্ভেদ্য ছিলেন। মাঠের মাঝখানে বাঘের মত লড়াই করলেন ডে পল। ডি মারিয়া ৬৩ মিনিট পর্যন্ত মাঠে ছিলেন। দেখিয়ে দিয়ে গেলেন বয়স হয়ে গেলেও তার প্রতিভা এবং কোয়ালিটি কমে যায়নি। তার একমাত্র গোলে কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনা ২৮ বছর পর।
আজ ফাইনালেও গোল করলেন। তার পরিবর্তে মাঠে নামলেন মার্কোস আকুনা। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার ম্যানেজার স্কালোনি দুর্দান্ত ছক তৈরি করে আটকে দিলেন ফ্রান্সের দুই বিখ্যাত ফুটবলার এমবাপে এবং গ্রিজম্যানকে। ৭৯ মিনিটে ওটামেন্দির ভুলে পেনাল্টি পেল ফ্রান্স। গোল করতে ভুল করেননি এমবাপে।
বল বাঁচাতে পারেননি এমি মার্টিনেজ। দেড় মিনিটের মধ্যে আবার গোল। এমবাপে অর্ধেক সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করে গেলেন। সারাক্ষণ ম্যাচে না থেকেও বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন তার গুরুত্ব কতটা। ম্যাচ থেকে হারিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। কয় গুণ আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল ফ্রান্সের। এই সময় মেসির একটি দূরপাল্লার শট বাঁচিয়ে দেন হুগো। ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়।
প্রথম ১৫ মিনিটে পরিবর্ত হিসেবে নামা লতারও মার্টিনেজ সহজ সুযোগ মিস করেন আর্জেন্টিনার হয়ে। অবশেষে ১০৯ মিনিটে একটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে মার্টিনেজ হয়ে বল আসে মেসির পায়ে। তার ডান পায়ের শট অনলাইন অতিক্রম করেছে কিনা প্রথমে বোঝা যায়নি।
কিন্তু রেফারি পরে গোল দেন। দেখা যায় অফসাইড ছিল না। ১১৭ মিনিটে আবার পেনাল্টি পেল ফ্রান্স। আবার গোল করলেন এমবাপে। বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক।