ব্রাজিলের বিরুদ্ধে যেমন গোলের নিচে নায়ক হয়ে উঠেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। সেরকমই আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক হয়ে দাঁড়ালেন গোলকিপার মার্টিনেজ। টাইব্রেকারে ডাচদের দু’টো গোল সেভ করে নায়ক বনে গেলেন তিনি। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয়ের ফলে কাতারের মাটিতে নীল সাদা ব্রিগেডের স্বপ্নের দৌড় অব্যাহত থাকল। মেসি আর মার্টিনেজের রূপকথার পারফরম্যান্সে আট বছর পর সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা।
advertisement
আরও পড়ুন- মেসির আর্জেন্টিনাকে বাঁচিয়ে রাখলেন গোলরক্ষক মার্টিনেজ, টাইব্রেকারে জিতে সেমিতে নীল সাদা
২০১৪ সালেও সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। এবারও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল। যদিও এদিন ৯০ মিনিটে প্রায় নিশ্চিত সহজ জয় থেকে ম্যাচটাকে কঠিন করে ফেলেছিলেন মেসিরা। তবে শেষ পর্যন্ত অসাধারণ ক্লাইম্যাক্সে যবনিকা পড়ল দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে একসময় মারপিটের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল ম্যাচটা। দুই দলের মধ্যে বিচ্ছিরি ফাউল, ধাক্কাধাকি আর হলুদ কার্ডের বন্যা বইছিল। রেফারির ঘন ঘন বাশির শব্দে কান ঝালাপালা হওয়ার যোগাড় হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত স্নায়ুচাপ ধরে রেখে জয় আর্জেন্টাইনদের। অরেঞ্জ আর্মির বিরুদ্ধেও ফের একবার জ্বলে উঠলেন মেসি। বাঁ পায়ের ঠিকানা লেখা পাসে গোল করালেন মলিনাকে দিয়ে আর নিজে পেনাল্টি থেকে গোল করলেন।
বিপক্ষ নেটে বল জড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ছুঁয়ে ফেললেন নিজের দেশের বাতিস্তুতার বিশ্বকাপে সর্বাধিক ১০ গোলের রেকর্ড। মেসি ম্যাজিকেই কার্যত নিষ্পত্তি হয়ে যাচ্ছিল ম্যাচটি। তবে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও ৮৩ মিনিটে আর একেবারে অতিরিক্ত সময়ের অন্তিম মুহুর্তে ডাচদের কাছে সেই লিড হাতছাড়া করে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত সময়ে দুর্ধর্ষ লড়াই করার পর শেষ পর্যন্ত নাটকীয় পেনাল্টি শুটআউটে জয় হাসিল করল আর্জেন্টিনাই। ম্যাচ শেষে মেসির নাচ আর উল্লাস বাড়তি পাওনা নীল-সাদার কোটি কোটি ভক্তদের। আর দুটি ম্যাচে মেসি ম্যাজিক হলেই ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটবে। চলতি বিশ্বকাপে এমএল১০ যেভাবে খেলছেন তাতে আশায় বুক বাঁধতেই পারেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। তবে সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে নামার আগে কোচ স্কালোনির চিন্তায় দলের ডিফেন্স। শেষ দুই ম্যাচে চাপের মুখে গোল হজম করতে হয়েছে।