বাংলা পিছিয়ে ৬১ রানে
কলকাতা: ঘরের মাঠ ইডেনেও সৌরাষ্ট্রর বিরুদ্ধে এত তাড়াতাড়ি ব্যাকফুটে চলে যাবে বাংলা, ভাবতে পারেননি বাংলার ক্রিকেট সমর্থকরা। দ্বিতীয় দিনের শেষে ১৪৩ রানের লিড ছিল সৌরাষ্ট্রের কাছে। আজ তৃতীয় দিন সকালে সেই লিড বেড়ে দাঁড়াল আরও ৮৭ রানের। মোট ৪০৪ করে সৌরাষ্ট্র। শেষ বেলায় ধর্মেন্দ্রসিন জাদেজা, পার্থ ভুতরা লড়াই করে অনেকটা এগিয়ে দিলেন গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
advertisement
বছর তিনেক আগে (২০১৯-২০ মরশুমে) রঞ্জি ফাইনালে বাংলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় সৌরাষ্ট্র। ছবিটা এবার বদলে দেওয়ার হাতছানি বাংলার সামনে। আপাতত প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়ে কোণঠাসা দেখাচ্ছে তিওয়ারিদেরই। সকাল থেকে যেমন কালো মেঘের ঘনঘটা ছিল ইডেনের আকাশে, তেমনই মেঘাচ্ছন্ন ছিল বাংলার পারফর্মেন্স।
এই রান তাড়া করতে নেমে বাংলার কাজটা সহজ হবে না জানা ছিল। আবার ব্যর্থ নতুন ওপেনার সুমন্ত গুপ্ত। মাত্র এক রান করে চেতন সাকারিয়ার বলে আউট হলেন। অভিমুন্য ঈশ্বরণ (১৬) ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। কিন্তু ফিরে গেলেন সাকারিয়ার বলেই। সুদীপ (১৪) জয়দেবের বলে খোঁচা দিয়ে ফিরে গেলেন। বাংলার টপ অর্ডার আবার ব্যর্থ। প্রথম ইনিংস থেকে তারা শিক্ষা নিতে পারেনি সেটা প্রমাণিত।
বিশেষ করে দুই বাহাতি পেসারকে সামলানোর ক্ষেত্রে প্ল্যান বি ছিল না বাংলার। কোচ লক্ষ্মীরতনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সবদিক থেকেই কমপ্লিট ক্রিকেট খেলেছে সৌরাষ্ট্র। মুকেশ, আকাশ এবং ঈশান - বাংলার এই তিনজন ফাস্ট বোলার উইকেট নিলেও বিপক্ষকে ভয় পাওয়ানোর কাজ করতে পারেননি। উল্টে ইডেনে এসে বিপক্ষের জোরে বোলাররা বাংলার তুলনায় ভাল করে গেলেন।
অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে তাতে যদি মনোজ বা অনুস্টুপের মধ্যে কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারেন তাহলে পাঁচ দিনের আগেই শেষ হওয়ার মুখে থাকবে রঞ্জি ফাইনাল। সেক্ষেত্রে হবে গতবারের মতোই ব্যাপার। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার কারণে চ্যাম্পিয়ন হবে সৌরাষ্ট্র। রানার্স হয়েই খুশি থাকতে হবে বাংলাকে।
বলতেই হবে অধিনায়ক হিসেবেও মনোজ নিজের স্ট্যাটিজি দিয়ে বিপক্ষ শিবিরকে বিপদে ফেলতে পারেননি।জয়দেব উনাদকাটের বলে বিশ্বরাজ জদেজার হাতে ধরা পড়েন অনুষ্টুপ মজুমদার। ১০১ বলে৬১ রান করেন অনুষ্টুপ। মারেন ৮টি চার। মনে হচ্ছিল নিশ্চিত একটা শতরান হাতছাড়া করলেন বাংলার রুকু।
অন্যদিকে মনোজ নিজের ৫০ পূর্ণ করলেন। সঙ্গে আছেন শাহবাজ। আগামীকাল এই দুজনকে পিছিয়ে থাকার রান অতিক্রম করে ভদ্রস্থ লিড এনে দিতে হবে। তারপর শেষ দিন নির্ভর করতে হবে ম্যাচের ভাগ্যের উপর।