অনুষ্কা এখানে যেহেতু ঝুলানর চরিত্রে অভিনয় করছেন, যিনি প্রধানত ফাস্ট বোলার এবং পরে ব্যাটসম্যান, তাই ফাস্ট বোলিং শেখাটাই ছিল আসল চ্যালেঞ্জ। সেটা ঝুলনের থেকে কিছুটা এবং অন্য ফাস্ট বোলিং কোচদের থেকে কিছুটা শিখেছেন তিনি। প্রশ্ন উঠতেই পারে, যার স্বামী স্বয়ং বিরাট কোহলি ক্রিকেটের বায়োপিক চরিত্র করার জন্য কেন তার সাজেশন নেওয়ার কথা ভাবলেন না অনুষ্কা?
advertisement
আরও পড়ুন - ভারতের ফিল্ডিং ক্লাব স্তরের, বিশ্বকাপে কপালে দুঃখ দেখতে পাচ্ছেন রবি শাস্ত্রী
বিরাট বলছেন অনুষ্কা ভেবেচিন্তেই এ কাজ করেছেন। ফাস্ট বোলিং অ্যাকশন শেখানোর ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ গাইড করতে পারতেন না স্ত্রীকে। তার ওপর চরিত্রটা যখন মহিলা ক্রিকেটের কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামীর, তখন এর জন্য ঝুলনই অনুষ্কাকে টিপস দেওয়ার সঠিক ব্যক্তি। নিজেকে পৃথিবীর জঘন্যতম বোলার বলেছেন বিরাট।
তবে অনুষ্কার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার আগে সিনেমা ব্যাপারটাকে অত্যন্ত সহজ মনে করতেন কোহলি। কিন্তু কিছু বিজ্ঞাপন করতে গিয়ে এবং স্ত্রীর কাজ দেখার পর বুঝতে শিখেছেন একটা সিনেমা তৈরি করা কম পরিশ্রমের কাজ নয়। কতবার রিটেক করতে হয়, আউটডোরে কঠিন অবস্থার মধ্যে শুটিং করতে হয়। প্রচুর পরিশ্রম। দিনে অর্ধেকের বেশি সময় শুটিং করলে শরীরে কিছু অবশিষ্ট থাকে না।
তাই খেলার থেকে সিনেমা তৈরি সহজ কাজ মনে করেন না বিরাট। ঝুলনের বায়োপিক নিয়ে প্রচুর পরিশ্রম করছেন অনুষ্কা। ক্যারিয়ারের এই জায়গায় এসে নতুন করে ফাস্ট বোলিং শেখা কতটা কঠিন জানেন বিরাট। তার জন্য অভিনেত্রী হিসেবে অনুষ্কার শ্রমকে স্যালুট জানাচ্ছেন তিনি।