৪৮ ঘন্টা আগেই ম্যারাথন ইন্টারভিউ পর্ব শেষে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তাঁরা মনস্থির করে ফেলেছেন। তাহলে কেন এত সময় লাগল টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ হিসেবে কুম্বলের নাম ঘোষণা করতে? কেন চুক্তির মেয়াদ মাত্র ১ বছর? নাটকীয় বৃহস্পতিবার বোর্ডের অন্দরমহলে দিনভর চলল চাপান-উতোর। সকালেই ধরমশালা পৌঁছে যান সৌরভ। কিন্তু দুপুরে শোনা যায়, কুম্বলের আকাশে মেঘ জমেছে।
advertisement
সৌরভ আর লক্ষ্মণের ভোট কুম্বলের দিকে থাকলেও কোহলির সমর্থন রয়েছে শাস্ত্রীর দিকে। আর উপদেষ্টা কমিটির তৃতীয় সদস্য সচিনও কিছুটা হেলে ছিলেন কোহলিদের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টরের দিকেই। সূত্রের খবর, ২-২ সমীকরণের ডেড-লক ভাঙতেই বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নেমে এল অনুরাগদের।
গোটা দেশের মিডিয়া যখন বোর্ডের ঘোষণার অপেক্ষায় তার আগে আচমকা জল্পনা। তাহলে কী কুম্বলের সঙ্গে শাস্ত্রীকেও অন-বোর্ডে রেখে শ্যাম-কূল বাঁচাতে চায় বোর্ড? গুঞ্জন বাড়তে থাকে শাস্ত্রীর ব্যাটিং কোচ হওয়া নিয়ে। প্রশ্ন ধেয়ে আসে, কুম্বলের হাতে স্টিয়ারিং থাকলে শাস্ত্রীর মত হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্ব কি রাজি হবেন ইগো সরিয়ে রেখে একসঙ্গে সংসার চালাতে! শেষপর্যন্ত অবশ্য তা হয়নি। কিন্তু প্রশ্ন থাকছে, তাক লাগানো প্রেজেন্টেশনে বিদেশে জেতার ব্লুপ্রিন্টে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার পরেও কেন কুম্বলেকে মাত্র ১ বছরের চুক্তিতে আনা হল? বিশেষত যেখানে আগামী ৭ মাসে ১৩টা টেস্টই দেশের মাঠে! বিশ্বকাপের দু’বছর আগে ফের কোচ পাল্টাতে হলে সেটা কত বড় ঝুঁকি হবে ভারতীয় ক্রিকেটে? কিন্তু কুম্বলের দ্বিতীয় ইনিংসকে ধোনির লাইফলাইন হিসেবেও দেখছেন অনেকে।
মাসকয়েক আগেই ধোনিকে অবসরের পরামর্শ দিয়েছিলেন শাস্ত্রী। টিম ইন্ডিয়ার ডিরেক্টরের পরামর্শ ছিল কোহলিকেই তিন ফর্ম্যাটের অধিনায়ক করার। সেদিক থেকে কুম্বলে আসায় ধোনি নিঃসন্দেহে সাময়িক স্বস্তি পেলেন। কিন্তু তবে কুম্বলে-কোহলি সম্পর্কের গতিপথ ভবিষ্যতে যাই হোক, সৌরভ-কুম্বলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলস্টোন হয়ে থাকল দিনটা। ওয়াকিবহালরা বলেন, জোবার্গে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালটা প্রবল বাসনা সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত জাম্বোর খেলা হয়নি সৌরভ না চাওয়ায়। আর এদিন নির্ণায়ক শেষ রাউন্ডে সচিনের ভোট সত্ত্বেও কুম্বলের অভিষেক কিন্তু বেহালার বাঁ-হাতির ভোটেই। এটাও কী কম নাটকীয়!