পরের ম্যাচেই নেমেছিলেন অমিত। তিনি ইংল্যান্ডের কিয়ারান ম্যাকডোনাল্ডকে হারিয়েছেন। ব্যবধান সেই ৫-০। অমিতের সামনে প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে ছিলেন ম্যাকডোনাল্ড। অমিতের ঘুষিতে তার রক্ত বেরোতে থাকে। তবুও লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন ইংরেজ বক্সার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অমিত দাপট দেখিয়ে বাউট জিতে নেন।
টোকিওতে নিজের নামের প্রতি একেবারেই সুবিচার করতে পারেননি অমিত পাঙ্ঘাল। প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে গিয়েছিলেন প্রতিযোগিতা থেকে। ভারতবাসীর হৃদয় ভেঙ্গে গিয়েছিল। অমিতের থেকে স্বর্ণপদক আশা করেছিল গোটা দেশ। আসলে অতীতে অলিম্পিক গেমস, বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ, এশিয়ান গেমসের মতো প্রতিযোগিতায় হরিয়ানার এই ছেলের রেকর্ড ছিল দেখার মত।
তবে এবারের কমনওয়েলথ গেমসে প্রথম থেকেই দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন অমিত। এবছর থাইল্যান্ড ওপেনে ফিলিপিনসের প্রতিযোগীর কাছে হেরে রুপো নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। এবারে মনে হচ্ছিল টোকিওর ব্যর্থতা ভুলতে মরিয়া অমিত। জাম্বিয়ার প্যাট্রিককে দাপটের সঙ্গে হারিয়েছেন তিনি।
চার বছর আগে গোল্ড কোস্ট রুপো জিতেছিলেন অমিত। অন্যদিকে জীবনের প্রথম কমনওয়েলথ গেমসে মেয়েদের ৪৮ কেজি বিভাগ চমক দিয়েছিলেন নিতু গঙ্ঘাস। কানাডার প্রিয়াঙ্কা ধিলনকে দাপটের সঙ্গে হারিয়েছিলেন তিনি। নিতুর স্বর্ণ পদকের লড়াই ছিল ইংল্যান্ডের দেমি জেডর বিপক্ষে। হরিয়ানার মেয়ে দেখিয়ে দিলেন তার ওপর ভরসা করা যায়।