ধোনির অবসর জল্পনা মতো নয়। বিশ্বকাপের মাঝে সত্যিই অবসর নিয়ে নিলেন অম্বাতি রায়ডু। একরাশ অভিমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে নিঃশব্দে গুডবাই জানালেন। ভারতীয় বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন ম্যানেজার সাবা করিমকে ইমেলে অবসরের কথা জানিয়ে দেন। বিশ্বকাপের ২ মাস আগেও তাঁকেই চার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ভাবা হত। নিজেকে তৈরি করতে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ছিলেন রায়ডু। কিন্তু বিলেতের দল ঘোষণায় বাদ পড়েন । থ্রি ডাইমেনশনাল দক্ষতার জন্য বিজয়শঙ্করে দলে নেন প্রসাদরা। প্রতিবাদে রায়ডুর টুইট ছিল, তিনি থ্রি-ডি চশমা পড়ে বিশ্বকাপ দেখতে বসবেন। পরে ৩৩ বছরের এই ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপের স্ট্যান্ডবাই লিস্টে রাখা হয়। কাপ যুদ্ধের মাঝে চোট পাওয়া ধাওয়ানের পরিবর্তে ঋষভ পন্থ দলে ডাক পান। তখনও চুপ ছিলেন ডানহাঁতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু বিজয় শঙ্করের পরিবর্তে ময়াঙ্ক আগরওয়ালের নাম দেখে নিজেকে সামলাতে পারলেন না। প্রাক্তন সতীর্থর ঘটনায় বোর্ডকে একহাত নিয়েছেন গৌতম গম্ভীর।
advertisement
গম্ভীরের মতো অনেক প্রাক্তনই সরব। সত্যিই কি সুবিচার পেলেন রায়ডু ? নির্বাচকরা যখন তাঁকে বিশ্বকাপে নেবেনই না, তাহলে স্ট্যান্ডবাই রাখলেন কেন ? ময়াঙ্কের নাম ঘোষণার আগে কি নির্বাচকরা কথা বলেছিলেন আম্বাতির সঙ্গে ? কেরিয়ারে ৪৭.৫ গড় নিয়ে ৫৫টি একদিনের ম্যাচ খেলা হায়দরাবাদি এই ক্রিকেটারের কি আরও একটু সম্মান পেতে পারতে না ? এই প্রশ্নের মধ্যেই বিরাটের শুভেচ্ছা বার্তা। ‘ভাল থেকো রায়ডু...’।