আট বছর বয়সে মুম্বই ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই পেয়েছেন প্রতিষ্ঠা। ভারতের বিরুদ্ধে কানপুর ( IND vs NZ Kanpur test) টেস্টে নিউজিল্যান্ডের হার বাঁচানোর পিছনে তাঁর যথেষ্ট অবদান ছিল। এবার বাণিজ্য নগরীতেও সাফল্যের সন্ধানে রয়েছেন আজাজ। তাঁর কথায়, মঙ্গলবার মুম্বইয়ে পা রাখার সময় থেকে আলাদা আবেগ অনুভব করছি। এখানেই আমারে জন্ম। এই শহরে নিয়মিত ছুটি কাটাতে আসি পরিবারের সঙ্গে। এবারের আসা অবশ্য একেবারেই আলাদা। সে জন্যই অদ্ভূত এক অনুভূতি হচ্ছে।
advertisement
এই বিমানবন্দর দিয়ে কতবার বাইরে গিয়েছি। কিন্তু এরকম অনুভুতি হয়নি। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ( Wankhede stadium) উপস্থিত থাকবেন তাঁর বহু আত্মীয়স্বজন। আজাজ অবশ্য চাপে নেই। বলছেন, ম্যাচটা আমি উপভোগ করতে চাই। আমার কাছে এই টেস্ট হতে চলেছে খুবই স্পেশ্যাল এক মুহূর্ত। কানপুর টেস্টে শেষ উইকেটে রাচীন রবীন্দ্রের ( Rachin Ravindra) সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন আজাজ। ভারতীয় বোলারেদের ২৩টি ডেলিভারি ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন।
তাঁর কথায়, প্রথম টেস্ট ড্র করতে পারা আমাদের কাছে দারুণ সাফল্য। তাৎপর্যের হল, ভারতে জন্মানো দুই ক্রিকেটার নিউজিল্যান্ডের হয়ে লড়াই করে ছিনিয়ে নিয়েছে ড্র। আমাদের কাছেও এটা দুর্দান্ত অনুভূতির। উল্লেখ্য, আজাজের মতো রাচীনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। শুক্রবার শুরু সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। আজাজ চাইছেন লাইন-লেংথে উন্নতি করতে। কানপুরে তিনি তিন উইকেট নিলেও বাকি দুই স্পিনার উইলিয়াম সামারভিল ও রাচীন থেকেছেন উইকেটহীন।
আজাজের কথায়, ভারতীয়রা স্পিন খেলতে দক্ষ। তাই লাইন-লেংথে নিখুঁত থাকতে হবে। অবশ্য দ্বিতীয় টেস্টের পিচ অন্যরকম হতে চলেছে। তবে আমরা সেরা ক্রিকেট খেলতে চাই। দলগত প্রচেষ্টাই আমাদের বৈশিষ্ট্য। আর ভারত যেমন স্পিন খেলতে দক্ষ, তেমনই আমাদের দলেও স্পিন সামলানোর লোক রয়েছে। আবেগপ্রবণ হলেও যে জার্সির জন্য তিনি খেলছেন, সেই নিউজিল্যান্ডকে জেতাতে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেবেন আজাজ।
চেনা শহরে অচেনা ভূমিকায় লড়বেন ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের ( black caps) হয়ে। পেশাদার ক্রিকেটার তিনি। একবার মাঠে নেমে গেলে জীবনে আবেগের জায়গা নেই। বলছেন ভারতকে হারাতে চেষ্টার ত্রুটি করবেন না। জন্মের শহর মুম্বই ( Ajaz Patel city of birth Mumbai) আজাজকে সাফল্য দেয়, নাকি খালি হাতে ফেরায়? সেটাই দেখার অপেক্ষা।