নিম্নে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া কিছু উল্লেখযোগ্য ফুটবলারের তালিকা দেওয়া হলোঃ
২০১৯ সালের এমিলিয়ানো সালার মৃত্যু:
২১ জানুয়ারি ২০১৯ সালে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার এমিলিয়ানো সালা একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে ফ্রান্স থেকে কার্ডিফ শহরে যাচ্ছিলেন। ইংলিশ ক্লাব কার্ডিফ সিটির সঙ্গে সদ্য ১৫ মিলিয়ন মূল্যের চুক্তি সম্পন্ন করার পর তিনি সেখানে যাচ্ছিলেন। ইংলিশ চ্যানেলের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তার বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যায় এবং পরে বিধ্বস্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত দেহটি সালার বলে শনাক্ত করা হয়।
advertisement
২০১৬ সালের শাপেকোয়েনস ট্র্যাজেডি: ২৮ নভেম্বর ২০১৬ সালে ব্রাজিলের ক্লাব শাপেকোয়েনসের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি চার্টার্ড বিমান কলম্বিয়ার মেডেলিনের কাছে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে মোট ৭৭ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ২২ জন খেলোয়াড়। মাত্র তিনজন খেলোয়াড় বেঁচে ফিরেছিলেন, বাকি ১৯ জন নিহত হন। পুরো ক্লাব ও দেশ গভীর শোকে নিমজ্জিত হয়।
জাম্বিয়া জাতীয় দলের মৃত্যু (১৯৯৩): ২৭ এপ্রিল ১৯৯৩ সালে জাম্বিয়ার জাতীয় ফুটবল দল বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের একটি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছিল। গ্যাবন থেকে ছাড়ার পরপরই তাদের সামরিক বিমানটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৮ জন খেলোয়াড়সহ ৩০ জন যাত্রী প্রাণ হারান। এটি জাম্বিয়ার ক্রীড়া ইতিহাসে অন্যতম বড় ট্র্যাজেডি।
১৯৮৯ সালের সুরিনাম ট্র্যাজেডি: ৭ জুন ১৯৮৯ সালে নেদারল্যান্ডসের ডাচ-সুরিনাম খেলোয়াড়দের একটি দল একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে সুরিনামে যাচ্ছিল। তাদের বিমানটি পারামারিবোতে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনায় ১৫ জন ফুটবলার প্রাণ হারান।
আলিয়ানজা লিমা দুর্ঘটনা (১৯৮৭): ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৭ সালে পেরুর জনপ্রিয় ক্লাব আলিয়ানজা লিমার খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি বিমান প্রশান্ত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৬ জন খেলোয়াড়সহ অনেকেই নিহত হন।
পাকতাকোর তাশকেন্টের দুর্ঘটনা (১৯৭৯): ১১ আগস্ট ১৯৭৯ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ফুটবল লিগের অন্যতম ক্লাব পাকতাকোর তাশকেন্ট দলের খেলোয়াড়রা একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। ইউক্রেনের আকাশে দুটি বিমানের মধ্যে সংঘর্ষে তাদের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়, এতে ১৭ জন ফুটবলার প্রাণ হারান।
চিলির গ্রিন ক্রস ট্র্যাজেডি (১৯৬১): ৩ এপ্রিল ১৯৬১ সালে চিলির ডিপোর্তেস গ্রিন ক্রস ক্লাবের খেলোয়াড়দের বহনকারী একটি বিমান আন্দিজ পর্বতে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৮ জন ফুটবলার নিহত হন।
ড্যানিশ ফুটবল দলের দুর্ঘটনা (১৯৬০): ১৬ জুলাই ১৯৬০ সালে ডেনমার্কের ৮ জন ফুটবলার একটি ছোট বিমানে করে কোপেনহেগেন বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করেছিলেন। বিমানটি ওরেসুন্ড প্রণালীতে বিধ্বস্ত হয় এবং সবাই নিহত হন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মিউনিখ ট্র্যাজেডি (১৯৫৮): ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বিমান মিউনিখ বিমানবন্দরে তুষারপাতের মধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে দলটির ৮ জন মূল খেলোয়াড় সহ ২৩ জনের মৃত্যু হয়। এই ট্র্যাজেডিকে “মিউনিখ এয়ার ডিসাস্টার” নামে স্মরণ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ IND vs ENG: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে বড় সমস্যায় গিল-গম্ভীর! কী হল ভারতীয় দলে?
তোরিনোর বিপর্যয় (১৯৪৯): ৪ মে ১৯৪৯ সালে ইতালির শীর্ষ ক্লাব তোরিনো এফসি দলের সদস্যরা একটি বিমানে করে পর্তুগাল থেকে ফিরছিলেন। বিমানটি তুরিন শহরের কাছে একটি পাহাড়ে আছড়ে পড়ে। এতে ১৮ জন খেলোয়াড়সহ পুরো দল নিঃশেষ হয়ে যায়।