ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকাল থেকে। আহমেদাবাদের নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা পাওয়া সিভিসি ক্যাপিটাল নিয়ে নানা জল্পনা হয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। আইপিএলের সঙ্গে ফের জড়িয়ে দেওয়া হয় বেটিং বিতর্ক। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে দাবি করা হয়, আইপিএলের নয়া আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা যে সংস্থা পেয়েছে সেই সিভিসি ক্যাপিটাল একাধিক বেটিং সংস্থার সঙ্গে নাকি যুক্ত। বিদেশে একাধিক বেটিং সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে সিভিসি ক্যাপিটালের।
advertisement
আরও পড়ুন- এত কথা শোনার পর শেষে বল ধরলেন পান্ডিয়া, মরণ-বাঁচন ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু ভারতের
প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, যদি সংশ্লিষ্ট সংস্থা বেটিংয়ে বিনিয়োগ করে থাকে তাহলে আইপিএলে দল কিনল কীভাবে? বোর্ডের স্ক্রুটিনিতে কেন ধরা পড়লো না বিষয়টি? এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। সেই বিতর্কে আরো উস্কানি দেয় আইপিএলের প্রাক্তন কমিশনার ললিত মোদি। একটি টুইটে তিনি লেখন, "এবার কি বেটিং সংস্থাগুলিও আইপিএল দলের মালিক হয়ে যাবে? আমি তো শুনলাম একটি দলের মালিকের নিজেরই বেটিং সংস্থা আছে। নিয়ম কি পাল্টে গেছে? বোর্ড কোনও হোমওয়ার্ক করে না? দুর্নীতি-দমন শাখাই বা কী করছে?"
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের জন্য বিরাট খবর, সাকিব আল হাসান আবার বিশ্বসেরা
ললিত মোদি দাবি করেন, সরাসরি বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থা কীভাবে আইপিএল দলের মালিকানা পেল। এই বিতর্ক মাথাচাড়া দিতে বোর্ডের এক কর্তা জানান, "সিভিসি ক্যাপিটাল একটা বিরাট বড় কোম্পানি। তাঁরা চাইলে বেটিং সংস্থার শেয়ার কিনতেই পারে। কারণ বিদেশে বেটিং বৈধ। ওঁরা অন্য একটি সংস্থার মাধ্যমে আইপিএলে টিম কিনেছে। সেই সংস্থার হাতে নিয়ন্ত্রণ থাকলেই কোনও সমস্যা নেই।"
এই বক্তব্যের পরও যদি কিন্তু কীভাবে? এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। তবে রাতের দিকে বোর্ডের এক সূত্র নিউজ 18 বাংলাকে জানিয়ে দেয়, "সিভিসি ক্যাপিটালের মালিকানা হওয়া নিয়ে কোনও জটিলতা নেই। সংস্থা যাবতীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। যোগ্য সংস্থা হিসেবে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক হয়েছে সিভিসি ক্যাপিটাল।"
ইউরোপের লুক্সেমবার্গের সংস্থা সিভিসি ক্যাপিটাল ৫৬২৫ কোটি টাকার বিনিময়ে আইপিএলের নতুন আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা পেয়েছে। ১৯৮১ সালে তৈরি হয় এই ঋণদানকারী সংস্থাটি। তাদের প্রধান দপ্তর লন্ডনে। বিশ্বের ৭৩টি সংস্থায় বিনিয়োগ রয়েছে সিভিসির। সিভিসির মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯ লক্ষ ৩৭ হাজার কোটি টাকা। আইপিএলে বিনিয়োগ করার আগে একাধিক খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিল এই সংস্থা।