এদিন মাজিয়ার বিরুদ্ধে ফেভারিট তকমা নিয়েই নেমেছিল মোহনবাগান। ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে বাগানের মাঝমাঠ। তবে সুযোগ পেলেই প্রতিআক্রমণে যাচ্ছিল মাজিয়াও। মলদ্বীপের ক্লাবের বিরুদ্ধে প্রথম গোলের মুখ খোলে ম্যাচের ২৮ মিনিটে। মাঝমাঠ তেকে হুগো বুমোসের পাস পেয়ে বক্সের থেকেই গড়িয়ে জোড়াল শট নেন কামিংস। প্রথম পোস্টে লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়।
advertisement
প্রথম গোল পাওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় মোহনবাগান। বেশ কয়েকবার গোলের কাছেও চলে গিয়েছিল ফেরান্দোর ছেলেরা। ম্যাচের ৪১ মিনিটে সাদিকুকে বক্সের ভিতর ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বাগান। কিন্তু সেই পেনাল্টি নষ্ট করেন কামিংস। ডাইরেক্ট শট না নিয়ে পেত্রাতোসতে পাস দিতে যান তিনি। কিন্তু পেত্রাতোস বল পাওয়ার আগেই তা ক্লিয়ার করে দেয় মাজিয়ার ডিফেন্ডাররা। এমন পেনাল্টি দেখে সমর্থকরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
এরপর ম্যাচের প্রথমার্ধের কিছু সময় আগে গোল শোধ করে দেয় মাজিয়া। বক্সের বাইরে বল পায় শট ওয়াডার। সেখান থেকে বুলেট শটে বিশাল কাইথকে পরাস্ত করে জালে বল জড়িয়ে দেন ওয়াডার। গোল শোধ হয়ে যাওয়ায় কামিংসের অনুশোচনাও ছিল দেখার মত। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে শেষে হয় প্রথমার্ধের খেলা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ফ্যানেরা ভেবেছিল ফের লিড নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে মোহনবাগান। আক্রমণের মাত্রাও অনেক বাড়াবে। কিন্তু অনেকটা ছন্নছাড়া দেখাচ্ছিল বাগানকে। একের পর এক মিস পাস খেলতেও দেখা যায়। সমর্থকরা হতাশ হয়ে পড়ছিলেন। ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট হওয়ার পর ফ্যানেরা একপ্রকার ধরেই নিয়েছিলেন ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। পেনাল্টি নষ্ট করে কামিংসই হতে চলেছিল খলনায়ক।
কিন্তু ম্যাচের ইনজুরি টাইমে খলনায়ক থেকে নায়ক হলেন কামিংস। বাঁ-প্রান্ত থেকে অনেকক্ষণ ধরেই আক্রমণে করছিল মোহনবাগান। এবারও সেই সাহাল উঠে আসেন। সামনে দারুণ বল বাড়ান কামিন্সকে লক্ষ্য করে। মাজিয়ার গোলকিপারের পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে বল জড়িয়ে দিলেন কামিন্স। এরপর মাজিয়ার পক্ষে আর গোল শোধ করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে ম্যাচ জেতে মোহনবাগান।