চতুর্থ টেস্টে পন্থ যেভাবে দলের বিপদের সময় ব্যাট করতে এসে প্রথমে দেখেশুনে এবং পরে দ্রুত রান তুলে ইংল্যান্ডের মৃত্যু পরোয়ানা লিখে দিয়েছিলেন তা দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি গিলক্রিস্ট। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন কতগুলো শতরান এল, তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কোন পরিস্থিতিতে এল। নিজের দ্বিতীয় পারফরম্যান্স দিয়ে যদি প্রথম পারফরমেন্সকে ভুলিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে সেই ক্রিকেটার অবশ্যই ম্যাচ উইনার। ভবিষ্যতে এই ভারতীয় উইকেট রক্ষকের ব্যাটিং দেখতে তিনি তাকিয়ে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন গিলি।
advertisement
বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। সর্বকালের সেরা হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে জানিয়েছিলেন সৌরভ। রবি শাস্ত্রী জানিয়েছিলেন ঠিক কতটা পরিশ্রম করে নিজের ওজন কমানোর পাশাপাশি কিপিং উন্নত করেছেন পন্থ। ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি পেসার জেমস অ্যান্ডারসনকে যেভাবে স্কুপ করে বাউন্ডারি মেরেছিলেন তিনি,তা প্রমাণ করে ছেলেটার মানসিকতা।
প্রশ্ন করা হয়েছিল ভবিষ্যতে সুযোগ হলে ফাস্ট বোলারদের বিরুদ্ধে আবার এরকম শট তিনি খেলবেন কিনা? নিঃসঙ্কোচে জানিয়েছিলেন সুযোগ করে আবার খেলবেন এমন শট। শুধু ভারতীয় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের নয়, প্রাক্তন বিদেশি তারকারাও মজে পন্থ ম্যাজিকে। কিন্তু বয়স কম হলেও অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছেন প্রশংসায় যেমন ভেসে যেতে নেই, তেমনই খারাপ সময় ভেঙে পড়তে নেই।
নিজের থেকেও দলের স্বার্থ সবার আগে। আজ যাঁরা প্রশংসা করছেন, খারাপ খেললে তাঁরাই কাল সমালোচনা করবেন। তাই বাইশ গজে ধারাবাহিক পারফর্ম করা ছাড়া অন্য বিষয়ে মাথা ঘামাতে চান না এই বিস্ময় প্রতিভা। তবে সর্বকালের অন্যতম সেরা উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান গিলক্রিস্টর প্রশংসা নিঃসন্দেহে তাঁর আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।