বজবজ নিবাসী অতিন হালদার, চিত্তরঞ্জন সামন্ত ও শিবেন তারা তিনজনে এই পদযাত্রা শুরু করেছেন। বজবজে যেখানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু থাকতেন সেখান থেকেই এই যাত্রা। জানা গিয়েছে, নাগাল্যান্ডের কোহিমা জেলার কিগওয়েমা গ্রামে তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রেশ। কারণ জাপানি সেনারা এই পাহাড়ি গ্রামে এসে কোহিমার যুদ্ধে লড়াই করে চলেছিলেন। আসলে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের দামামার মধ্যেই জাপানের সাহায্য নিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজ বাহিনী এগিয়ে চলেছিল ভারত জয়ের লক্ষ্যে।
advertisement
৪ এপ্রিল, ১৯৪৪ সালে শুরু হওয়া কোহিমার ৮০ দিনব্যাপী যুদ্ধে পরাজয় হলেও আজাদ বাহিনীর সংগ্রাম ছিল বীরত্বের। প্রকৃতপক্ষে কিন্তু কোহিমা থেকেই ভারতের বিজয় সূচক ইতিহাসের শুরু। ১৯৪৪ সালের ১৪ এপ্রিল ছিল ইতিহাসের সেই বিশেষ দিন। বিকেল ৫ টার সময় ইম্ফল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে মনিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাং অঞ্চলে সর্বপ্রথম ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে আজাদ হিন্দ বাহিনী। পাহাড় ঘেরা অঞ্চলে সূচনা হয় ভারতের বিজয় উৎসব। তাই কলকাতা থেকে কোহিমা পায়ে হেঁটে যাত্রা করছেন তারা।
কৌশিক অধিকারী





