পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একাদশীর রাতে গ্রামের প্রসিদ্ধ সিংহবাহিনী দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন উপলক্ষে অভিজিতের সঙ্গে পাড়ার কয়েকজন যুবকের বচসা বাধে। মুহূর্তের মধ্যে তা হাতাহাতিতে গড়ায়। যদিও সেদিনকার মতো অশান্তি মিটে যায়। কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও প্রয়োজন পড়েনি।
advertisement
কিন্তু শনিবার রাত থেকে আচমকাই তীব্র পিঠের যন্ত্রণা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে শুরু করেন অভিজিৎ। ভোরে তাকে নানুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানেই রবিবার সকালে মৃত্যু হয় যুবকের।
অভিজিতের পরিবারের অভিযোগ, নিরঞ্জনের রাতে হওয়া বেধরক মারধরেই তার মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্তদের বাড়ির মহিলাদের দাবি, ‘বড়সড় মারামারি হয়নি। উভয়পক্ষের মধ্যে শুধু ধস্তাধস্তিই হয়েছে। মারা যাওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি’। তবে তারা পুলিশি তদন্ত ও ময়নাতদন্তের ফলাফলের উপর আস্থা রাখছেন বলে জানিয়েছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মৃত যুবকের পিসেমশাই মধুসূদন মেটে বলেন, ‘ছয়জনের বিরুদ্ধে নানুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে’। তবে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়েছেন তারা এবং ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।