ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবাশালা ও তার আশপাশের গ্রামে এখনও আতঙ্ক রয়েছে। এলাকায় আরও নেকড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অনেকেই দরজা জানালা বন্ধ করে ঘরে বাস করছেন। সন্ধের পর রাস্তা জনশূন্য হয়ে পড়ছে। ওই গ্রাম বন দফতরের পানাগড় এলাকার মধ্যে পড়ে। গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করতে এলাকায় টহল দিচ্ছে বনকর্মীরা।
আরও পড়ুন: ট্রেনের বগির নীচে ঝুলেই পাড়ি ৩০০ কিলোমিটার! দানাপুর এক্সপ্রেস স্টেশনে থামতেই হতবাক রেলকর্মীরা
advertisement
বর্ধমানের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার সঞ্চিতা শর্মা বলেন, ‘দেবশালা গ্রামে হামলা চালানো বন্যপ্রাণিটি ভারতীয় নেকড়ে। ওরা সাধারণত মানুষকে এড়িয়েই চলে। কিন্তু এটি অস্বাভাবিক আচরণ করছিল। একের পর এক মানুষকে আক্রমণ করছিল। শুক্রবার সকালে ওই ভারতীয় নেকড়েটি পাঁচ জনকে জখম করেছে বলে আমরা খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরের টিম রওনা দেয়। কিন্তু ওই গ্রামে পৌঁছনোর আগেই সে মোট কুড়ি জনের উপর হামলা চালিয়েছিল। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা তাকে মেরে ফেলে। আমরা গ্রামবাসীদের বলছি, আতঙ্কিত হবেন না। এই ধরনের কোনও বণ্যপ্রাণী দেখলেই আমাদের খবর দিন। কিন্তু কোনওভাবেই আইন হাতে তুলে নেবেন না।’
বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, ফরিদপুর, অণ্ডাল, কাঁকসা, আউশগ্রামের জঙ্গলে দেশীয় নেকড়ের সংখ্যা বেড়েছে। তবে তারা হয়তো জঙ্গলে তাদের চাহিদামতো খাবার পাচ্ছে না। সে কারণেই তারা লোকালয়ে বেরিয়ে আসছে।
ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার সঞ্চিতা শর্মা বলেন, ‘ঠিক কতগুলি এই ধরনের নেকড়ে বাঘ রয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। কারণ সেভাবে গণনা হয়নি। সংখ্যাটা চল্লিশ থেকে একশো পর্যন্ত হতে পারে।’