TRENDING:

লুকিং গ্লাস ছাড়াই গাদাগাদি করে পড়ুয়াদের নিয়ে ছুটছে পুলকার !

Last Updated:

অভিভাবকরা বলছেন, এই ঝুঁকির যাতায়াত বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্কুলগুলিও দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। সমস্যা মোকাবিলায় তাদেরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার সময় এসেছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#বর্ধমান: না আছে তার মুন্ডু মাথা না আছে তার মানে। তার নামই পুল কার। পোলবা কান্ডের পর রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গেলেও বর্ধমানে এখনও হুঁশ ফেরেনি অনেক পুলকার মালিকের। রাস্তায় নামার একেবারেই অযোগ্য সেইসব গাড়িতেই এখনও স্কুল পড়ুয়াদের যাতায়াত চলছে। অভিভাবকরাও তাঁদের ছেলেমেয়েদের তুলে দিচ্ছেন সেইসব গাড়িতেই।
advertisement

বর্ধমান টাউন স্কুলে সামনে দেখা মিলল এমন পুলকারের। সে গাড়ির রিসোলিং টায়ার। তাও ঘষে মসৃণ হয়ে গিয়েছে। ইন্ডিকেটর ভাঙা। ভেতরে বাড়তি পড়ুয়া বসানোর জন্য লোহার বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। অবাক হওয়ার পালা এখনও রয়েছে। চালকের দুপাশে লুকিং গ্লাস পর্যন্ত নেই। গাড়ির বডিও ধরধরে। তার ভেতরেই গাদাগাদি করে স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

advertisement

বাসিন্দারা বলছেন, স্কুলগুলির সামনে দাঁড়ালে এমন অনেক পুলকারের দেখা মিলবে। পুরনো রাস্তায় নামার অযোগ্য গাড়িকেই পুলকার হিসেবে খাটানো হচ্ছে বছরের পর বছর। সেসব গাড়ির না আছে কোনও রুট পারমিট, না আছে প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র । গাড়িগুলির বিমার কাগজও নেই। ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত নেই অনেক চালকের। অভিভাবকরাও বিনা বাক্যব্যয়ে সন্তানদের সেসব গাড়িতে তুলে দিচ্ছেন।

advertisement

সচেতন অভিভাবকরা বলছেন, একসঙ্গে অনেকে গেলে খরচ কিছুটা কম হয় ঠিকই। কিন্তু সামান্য অর্থের দিক দেখতে গিয়ে যে সন্তানদের জীবন বিপন্ন করে তুলছেন তা  মাথায় রাখছেন না তাঁরা। অনেক বাংলা মাধ্যম স্কুলের নিজস্ব কোনও পুলকার নেই। অভিভাবকরা নিজেদের উদ্যোগে সে গাড়ির ব্যবস্থা করছেন। মূলত সেসব ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হচ্ছে রাস্তায় চলার অযোগ্য এইসব পুলকার। এক একটি গাড়িতে পাঁচ ছ জন বসতে পারে। গাড়ির নকশা বদলে সেই গাড়িতেই ঢোকানো হচ্ছে দশ বারো জন পড়ুয়াকে। চোদ্দ জন নিয়ে চলাচল করে এমন পুলকারও রয়েছে। একে অন্যের ঘাড়ে পিঠে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে ক্ষুদে পড়ুয়ারা রোজ যাতায়াত করছে। ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।

advertisement

আশার কথা,  পোলবার ঘটনা এখন টনক নড়িয়েছে অনেকেরই। এই ধরনের গাড়ি বন্ধ হওয়ার পক্ষে এখন মুখ খুলছেন অনেকেই। অভিভাবকরা বলছেন, এই ঝুঁকির যাতায়াত বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্কুলগুলিও দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। সমস্যা মোকাবিলায় তাদেরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার সময় এসেছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
জঙ্গলের আড়ালে নিভে যাওয়া শিক্ষার প্রদীপ! মহাশ্বেতা দেবীর স্বপ্নের বিদ্যালয় অবহেলায় পড়ে
আরও দেখুন

Saradindu Ghosh

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
লুকিং গ্লাস ছাড়াই গাদাগাদি করে পড়ুয়াদের নিয়ে ছুটছে পুলকার !
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল