প্রখর গ্রীষ্মে বাঁকুড়া পুড়বে আর কিছুদিনের মধ্যেই। বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে আগুন লাগার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কেউ কেউ অনিচ্ছাকৃতভাবে আগুন ধরিয়ে দেন দাহ্য পদার্থ বন জঙ্গলের ভেতর নিয়ে গিয়ে। সেই সবের খবর পেয়ে ছুটে এসেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শিক্ষক ভবানীপ্রসাদ দাস। নিজের মোটরসাইকেলে জঙ্গলে আগুন না লাগাবার বার্তা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন সকলের কাছে। সঙ্গে রয়েছে দুখু মাঝির অনুপ্রেরণা।
advertisement
আরও পড়ুন: একটার পর একটা ডুব! হাজার পেরিয়েও থামেন নি! হলটা কি সদানন্দ বাবুর
কয়েকদিন আগে বাঁকুড়ার অন্যতম পাহাড় শুশুনিয়ার পরিবেশের মহীরুহ বট ও অশ্বত্থ ফিরিয়ে আনতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন আরামবাগ হাই স্কুলের বাংলা বিভাগের পরিবেশপ্রেমী শিক্ষক ভবানী প্রসাদ দাস। সহযোগী হিসেবে ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শান্তনু পাল। তিনি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন স্থান থেকে বট ও অশ্বত্থ চারা সংগ্রহ করে স্কুল, কলেজ, হাট-বাজার, পুকুর পাড়, নদীর ধার, রাস্তার ধার ইত্যাদি জায়গায় লাগিয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা নিয়ে বাঁকুড়া এসেছেন, মুকুটমনিপুর ড্যামে ঘুরে গেলেন। দেখে গেলেন পুরানো চারাগুলি কতটা বেড়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমস্যা বিশ্ব উষ্ণায়ন। বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে মানব সমাজ। বাড়ছে তাপমাত্রা। তবে পৃথিবীর এই সবচেয়ে বড় সমস্যার সমাধান প্রত্যেকের জানা এবং কাজটা খুব একটা কঠিনও নয়। বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে রক্ষা পেতে গেলে লাগাতে হবে গাছ। প্রকৃতিকে সবুজ শ্যামল করে তুলতে পারলেই, মুছে যাবে প্রকৃতির বুক থেকে রাসায়নিক অশুদ্ধি। সেই পথেই বাঁকুড়ায় হাজির পেশায় আরামবাগের শিক্ষক এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা ভবানীপ্রসাদ।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





