আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ২০১১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। সেই দিন বিকেল ৫টা নাগাদ মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মেমারির করন্দা গ্রামের বাসিন্দা ভূতনাথ মালিক। বাড়ির কাছে একটি পুকুর পাড়ে তাকে আটকে একদল গ্রামবাসী বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে। হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে ক্লাব ঘরে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সালিশি সভার নামে দ্বিতীয় দফায় মারধর শুরু হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতায় মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা! স্কুটারকে ধাক্কা বাসের, রক্তে ভেসে গেল চারপাশ
মৃতপ্রায় ভূতনাথ জল পান করতে চাইলেও তা দিতে কেউ এগিয়ে আসেনি। বেদম মারধরের জেরে ক্লাবঘরেই মৃত্যু হয় তাঁর। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় মেমারি থানার পুলিশ। ভূতনাথের ভাইপো গণেশ মালিক মেমারি থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শুরু হয় ধরপাকড়।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের ট্রেনে বিপদ! বিগড়ে গেল চলন্ত মালগাড়ির ইঞ্জিন, আটকে গেল বন্দে ভারত
জানা যায়, গ্রামে নবান্ন উৎসব চলাকালীন এক মহিলাকে উদ্দেশ করে ভূতনাথ কটুক্তি করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর গ্রামের সালিশি সভায় তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি সেই সালিশি সভায় যাননি। তার জেরেই তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ এই খুনের ঘটনায় ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। দীর্ঘ শুনানির পর ৯ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (পঞ্চম কোর্ট) দেবশ্রী হালদার। বাকিদের এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। এছাড়াও সাজাপ্রাপ্তদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দু’বছর জেলের সাজা দেওয়া হয়েছে। সব সাজাই এক সঙ্গে চলবে।