শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরে বিশ্বকর্মা পুজো মানেই উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যায়। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল ও খনিঞ্চলে জাঁকজমকপূর্ণ ও আড়ম্বরের সঙ্গে পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো।হাতে আর মাত্র একটা দিন। তারপরেই কর্মের দেবতার আরাধনায় মেতে উঠবেন শিল্পাঞ্চলবাসী।
কলকারখানা ও খনি অঞ্চল সহ শিল্পাঞ্চলের অলিতে গলিতে প্রায় কয়েক হাজার বিশ্বকর্মা পুজো হয়। আবার বিশ্বকর্মা পুজোর মাত্র কয়েকদিন পরেই দুর্গাপুজো। শেষ মুহুর্তে তাই রাতদিন এক করে প্রতিমা তৈরি করছেন মৃৎশিল্পীরা। পাশাপাশি এই কর্মযজ্ঞে যোগ দিয়েছেন বাড়ির গৃহিনীরাও। সংসার সামলে তাঁরাও হাতে হাত মিলিয়ে রাত জেগে সম্পূর্ণ করছেন বিশ্বকর্মার সাজসজ্জা। তার ওপর আবার ফের বৃষ্টি শুরু হয়েছে শিল্পাঞ্চলে। আকাশের মুখ ভার। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করেই চলছে ঠাকুর তৈরির কাজ। উল্লেখ্য, শিল্পনগরী দুর্গাপুর বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অনেকখানি এগিয়ে থাকে প্রত্যেক বছর।
advertisement
পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে ১৯৫৫ সালে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি) কারখানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বকর্মা পুজো পালিত হয়ে আসছে। ডিএসপি কারখানা গড়তেই দুর্গাপুর জুড়ে একের পর এক সরকারি ও বেসরকারি কারখানা গড়ে উঠতে থাকে। শিল্পের দেবতার আরাধনাও বাড়তে থাকে। কারখানা ছাড়াও গাড়ি মেরামতির গ্যারেজ ও বাস, অটো – টোটো ও চারচাকা গাড়ির স্ট্যান্ডেও পুজো হয় ধুমধাম করে। এছাড়াও হাজার হাজার পণ্যবাহী গাড়ির গ্যারেজগুলিতেও হয় বিশ্বকর্মা পুজো। ওই দিন শিল্প শহর ও কয়লা খনিঞ্চলের অলিগলি আলোক সজ্জায় ভরে ওঠে। এমনই জাঁকজমকপূর্ণ শিল্প শহরের বিশ্বকর্মা পুজো সফল করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিশ্বকর্মার মূর্তির শেষ পর্যায়ের কাজ করে চলেছেন মৃৎশিল্পীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দুর্গাপুরে প্রায় শতাধিক মৃৎশিল্পী রয়েছেন। মৃৎশিল্পীদের দাবি, গণেশ পুজোর পরেই বিশ্বকর্মা পুজো ও মনসা পুজো। তার কিছুদিন পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোও পালিত হবে এই মাসেই। কয়েক দিনের ব্যবধ্যানে একের পর এক পুজো হওয়ায় কঠোর পরিশ্রম করে মূর্তি গড়ে তুলছেন তাঁরা। পুজোর সংখ্যা দিনের পর বেড়েই চলেছে। নিজেদের হাতে হাজার হাজার মূর্তি তৈরি করতে হিমসিম খাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা।