খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভগবানগোলা এসডিপিও-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৩ জনকে আটক করে রানিতলা থানার পুলিশ। গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং বলেন, কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: মালদহে ‘ম্যাজিক’ হবে, ২৪-এর জয়ের সেমিফাইনালে ২৩-এই বাজিমাত চান অভিষেক
শনিবার সকালে ভগবানগোলা ২নং ব্লকের পাহাড় গোবিন্দপুর এলাকায় পতাকা লাগানোর কাজ করছিল কংগ্রেস। অন্যদিকে, তৃণমূলের কর্মীরা। আর পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করেই দুপক্ষের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। আর তারপরেই শুরু হয় হাতাহাতি। একে অপরকে লাঠি সাবল দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। দু’পক্ষের সাতজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: কলকাতায় উধাও বৃষ্টি! ঝড়-বৃষ্টির আপডেটে জেলায় বড় চমক, ভোটের দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া?
এলাকাবাসী রুবিনা বিবি বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমরা খুব আতঙ্কে আছি। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ভাবে এলাকায় ভোট হোক।’ আহত তৃণমূল কর্মী কাশিকুল সেখ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজেদের এলাকায় দলের পতাকা লাগাচ্ছিলাম। কিন্তু কংগ্রেসের কর্মীরা গন্ডগোল বাঁধানোর চক্রান্ত করে বহিরাগত লোকজন নিয়ে আসে। আমার বহিরাগত লোক নিয়ে এসে পতাকা লাগানোয় বাধা দেওয়ায় আমাদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করতে শুরু করে।’ আহত কংগ্রেস কর্মীর স্ত্রী সাকিনা বিবি বলেন, ‘আমার স্বামী কংগ্রেস দলকে সমর্থন করে। সকালে ও পতাকা লাগানোর কাজ করছিল। তখনই তৃণমূল কর্মীরা ওদের পতাকা লাগাতে বাধা দেয়। কিন্তু ওরা কোনও অশান্তি করেনি। বাড়ি চলে আসার পরেও বাড়ি ঢুকে আমার স্বামীকে তৃণমূলের লোকরা বেধড়ক মারধর করে। আমি চাই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক।’
প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়