সোমবারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত অভিভাবকেরা। গাড়ির গুণগত মান নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগ, মাত্র পনেরো হাজার টাকায় কেনা হয়েছিল গাড়িটি। অভিভাবকদের দাবি, পুলকার ঠিক করে দিত স্কুল। নিয়মিত যে পুলকারটি পড়ুয়াদের স্কুল থেকে নিয়ে আসত, সেটি কোনও কারণে স্কুলেই পড়ে রয়েছে। সেই গাড়ির বদলে গত ২-৩ দিন ধরে আসছিল অন্য পুলকারটি।
advertisement
সোমবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকে উলুবেড়িয়া। স্কুল থেকে পড়ুয়াদের নিয়ে ফেরার পথে পুকুরে পড়ে যায় একটি পুলকার। দুর্ঘটনায় তিন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়, আহত দুই। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় এক স্কুল থেকে পড়ুয়াদের নিয়ে ফিরছিল পুলকারটি। বহিরা গ্রামের কাছে আচমকাই চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে সোজা পুকুরে গিয়ে পড়ে পুলকারটি। সেই সময় গাড়িতে ছিল ৫ পড়ুয়া। স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধারের চেষ্টা করে, খবর দেওয়া হয় পুলিশে, পরে পুকুরে ডুবুরি নামানো হয়।
উলুবেড়িয়ার এআরটিও জানান, ” পুলকার সংক্রান্ত বিষয়ে বুধবার উলুবেড়িয়া সাব ডিভিশনের সমস্ত বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রাইভেট গাড়িগুলি এলাকাগতভাবে গাড়ি চালাচ্ছে, যেগুলো ধরার মত ম্যান পাওয়ার আমাদের নেই। গাড়ির কাগজ বৈধ না হলে বার বার নোটিস ধরানো হয়। গাড়ি ধরলে, বাচ্চারা গাড়িতে থাকলে আমারা কোনও পদক্ষেপ করতে পারি না। গাড়ির বৈধ কাগজ না থাকলে গাড়ি সিজ করা উচিৎ।”
পুকুর থেকে পাঁচ পড়ুয়াকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে তিন জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত পড়ুয়ারা হল শৌভিক দাস (১১), ইশিকা মণ্ডল (৭) এবং আরীন দাস (৯)। তিন জনেই ওই এলাকারই বাসিন্দা।
